একটা সময় ছিল, ঘর সাজাতে ব্যবহৃত হতো ভারী নকশার সব আসবাব। উপযোগিতার চেয়ে প্রাধান্য পেতো অভিজাত্য আর গাম্ভীর্য। সময়ের সঙ্গে গৃহসজ্জার এ ধারায় এসেছে পরিবর্তন। আজকাল অধিকাংশ ঘরের আয়তনই থাকে বেশ ছোট। তাই সবাই ঝুঁকছেন মিনিমালিস্টিক ইন্টেরিয়র ডেকোর বা পরিমিত গৃহসজ্জার দিকে। পাশাপাশি ক্রেতারা কিনছেন মাল্টিফাংশনাল আসবাব। অর্থাৎ একটি আসবাবের অনেক কাজ। কিছু ফার্নিচারের ভেতর যোগ করা হচ্ছে প্রযুক্তি।
আকারে ছোট এবং সহজে বহনযোগ্য ফার্নিচারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। নাভানা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহেদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘নাভানার আসবাবে আধুনিক নকশার সমন্বয় করা হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিতা অনুযায়ী আমরা আসবাব তৈরি করে দিই।’ আসবাবের ভারী নকশার চেয়ে ক্রেতারা এখন নতুনত্বকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। আসবাবের নকশায় এখন বেশি কারুকার্য রাখা হচ্ছে না। ইশো ফার্নিচারের লিড আর্কিটেক্ট পিণাক পাণি সাহা আসবাবের নতুনত্ব নিয়ে বলেন, এখন মানুষ সহজাত নকশা বেশি পছন্দ করে। পুরোনো আসবাবে বেশি কারুকার্য পছন্দ করত মানুষ। আসবাবগুলো ব্যবহার করা হতো কয়েক যুগ ধরে। বর্তমানে মানুষের চাহিদা খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তিত হচ্ছে। এর প্রভাব অন্দরসজ্জায়ও দেখা যাচ্ছে।
নকশার ভিন্নতা
বর্তমানে ফার্নিচারে নকশার বা ডিজাইনের বেশ ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। বাসা বা অফিসে ফার্নিচার ব্যবহারে যেন কম জায়গা লাগে, সেই ভাবনা থেকেই এখনকার আসবাবগুলো বানানো হচ্ছে। জায়গা বাঁচানোর জন্য স্পেস সেভিং বেড, সোফা কাম বেড, স্পেস সেভিং ডাইনিং সেট, ওয়াল ক্যাবিনেট, চেয়ার অ্যান্ড ল্যাডার, রিডিং ইউনিটের জনপ্রিয়তা এখন বেশি।
কোথায় পাবেন
ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বর্তমানে নন-ব্র্যান্ডের চাহিদাও বেশ ভালো। ব্র্যান্ডের ফার্নিচারের মধ্যে নাভানা, ইশো, সেভয়ের, বহু, হাতিল, অটবি, অ্যাশলে, নাদিয়া পারটেক্স, আখতার ফার্নিচার, ব্রাদার্স ফার্নিচারের চাহিদা বেশি। রাজধানীর পান্থপথ, খিলগাঁও, মীরপুর, যাত্রাবাড়ি, রামপুরা, পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুরসহ ঢাকার প্রায় সব এলাকাতেই আসবাব পাওয়া যায়। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা শহরে ফার্নিচারের দোকান রয়েছে।