আমড়া বাড়ায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা

.

লবণ-মরিচ মাখিয়ে আমড়া কে না খেয়েছে? বাঙালির অতি প্রিয় এই মৌসুমি ফলের কদর যুগ যুগ ধরেই ছিল। খাবারের সঙ্গে টক বা অম্বল রান্নায় আমড়া অতুলনীয়। এ ছাড়া আমড়ার আচারেরও কদর আছে। সবচেয়ে বড় কথা আমড়া অতি সস্তা ফল। এতে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
বর্ষাকাল হচ্ছে আমড়ার শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময় আমড়া বাজারে আসা শুরু করে। সাধারণ ফলবিক্রেতাসহ সবজিবিক্রেতাদের কাছেও আমড়া মেলে। তাই আমড়া খাওয়া শুরু করা উচিত এখনই।
আমড়া কষ ও টক স্বাদযুক্ত ফল। এতে প্রায় ৯০ ভাগই পানি, চার থেকে পাঁচ ভাগ শর্করা ও সামান্য পরিমাণে আমিষ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী আমড়ায় পাওয়া যাবে শর্করা ১৫ গ্রাম, আমিষ এক দশমিক এক গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক এক গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫৫ মিলিগ্রাম, লোহা তিন দশমিক নয় মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৮০০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ শূন্য দশমিক শূন্য চার মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৯২ মিলিগ্রাম ও খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি।
এসব উপাদান শরীরকে রাখে নানা রোগ থেকে মুক্ত। বিশেষ করে আমড়া রক্তে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে দারুণভাবে। স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ প্রতিরোধে আমড়ার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম। মাড়ি ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এসব উপাদান সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ, যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। খিঁচুনি, পিত্ত ও কফনাশক হিসেবে আমড়ার রয়েছে বহুল ব্যবহার। আমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহায়তা করে। অরুচি ও শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপকে দূর করতে সাহায্য করে আমড়া। ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর রাখে আমড়ার গুণের পরিচয়। ত্বকের নানা রোগও প্রতিরোধ করে।
লেখক, প্রধান পুষ্টিবিদ
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক
জেনারেল হাসপাতাল