আমি যা দেখতে চাই, টিকটক সেটাই দেখাবে

অল্প দিনের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে টিকটক। অনেকে বলছেন, সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যমই প্রযুক্তি দুনিয়ার ‘নেক্সট বিগ থিং’। আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে টিকটককে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে টিকটকে রুচিশীল কনটেন্টের অভাব, এটি তরুণদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে—এমন অপবাদও শোনা যায়। তরুণদের মধ্যেও রয়েছে টিকটক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীর কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম টিকটক সম্পর্কে তাদের ভাবনা।

রাকশান্দা সোরিয়া সামাদ, শিক্ষার্থী, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
ছবি: সংগৃহীত

যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেরই ভালো–খারাপ দুটো দিকই আছে। টিকটকের অনেক ভালো দিকই আমার চোখে পড়েছে। ভালো দিকগুলোর মধ্যে প্রথমেই বলব—ভিডিওগুলোর দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় বিনোদন পাওয়াটা এখন আর সময়সাপেক্ষ নয়। এ ছাড়া মাসখানেক আগে টিকটক তাদের অ্যালগরিদম হালনাগাদ করেছে। এখন অন্তত আমার ফিডে কনটেন্টের মান যথেষ্ট ভালো। কারণ, আমি যেসব ভিডিও দেখতে চাই, সেসবই আমার সামনে আসে।

যেমন ‘ফুড রিভিউ’বা ঢাকার নতুন কোনো জায়গার ‘রিভিউ’ টিকটকে দেখতে ভালো লাগে। ডায়েট, শরীরচর্চা বা মেকআপ–সংক্রান্ত ছোট ছোট পরামর্শ, পড়ালেখার কৌশল বা পণ্যের রিভিউ, নানা ধরনের টিউটরিয়াল—এসবই এখন টিকটকে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের টেন মিনিট স্কুল থেকে শুরু করে ভিনদেশের অনেক অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্মেরই এখন অফিশিয়াল টিকটক অ্যাকাউন্ট আছে। আপনি চাইলে ছোট ছোট ভিডিও থেকে অনেক কিছু শিখতেও পারবেন।

কখনো কখনো ছোট ছোট মিমগুলোও দেখতে মজা লাগে। টিকটকের ভিডিওর দৈর্ঘ্য আগে ৬০ সেকেন্ড ছিল। এরপর তারা তিন মিনিট করেছে। এখন শুনছি সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের ভিডিও-ও টিকটকে দেওয়া যাবে। ভালো কনটেন্ট নির্মাতারা যদি এগিয়ে আসেন, আমি মনে করি, সামনে টিকটকের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।