ভারতের আগ্রায়। তাজমহল থেকে মাত্র আধা মাইল দূরে শেরোজ হ্যাংআউট নামের একটি ক্যাফে। এটি কোনো সাধারণ রেস্তোরাঁ নয়, অ্যাসিড–সহিংসতার শিকার পাঁচ নারী এটি পরিচালনা করেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আগ্রা শহরে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ঋতু সাইনি, চঞ্চল কুমারী, নীতু মাহর, গীতা মাহর ও রূপা এই ক্যাফে পরিচালনা করছেন।
রূপা (২২) বলেন, ‘লোকজন শুধু খাওয়াদাওয়া করার জন্যই আসেন না, আমাদের সঙ্গে কথা বলতেও আসেন।’ মাত্র ১২ বছর বয়সে সৎমায়ের অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছিলেন রূপা।
ভারতজুড়ে অ্যাসিড–সহিংসতার শিকার নারীদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে ‘স্টপ অ্যাসিড অ্যাটাক’ প্রকল্পের আওতায় এ ক্যাফে পরিচালিত হয়।
চঞ্চল কুমারী (২০) জানান, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ২০১২ সালে অ্যাসিড–সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন।
ওই পাঁচ নারী জানান, অ্যাসিড–সহিংসতার শিকার হওয়ার পর দগ্ধ দেহ আর ক্ষতবিক্ষত মন নিয়ে চরম হতাশায় তাঁদের দিন কাটছিল। পরিবার থেকে তাঁরা হয়ে পড়েছিলেন বিচ্ছিন্ন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘স্টপ অ্যাসিড অ্যাটাক’ প্রচারাভিযান সম্পর্কে জানতে পারেন। ২০১৩ সালের ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস থেকে দিল্লিভিত্তিক প্রকল্পটি চালু হয়।
গীতা মাহর (৪২) ও তাঁর মেয়ে নীতু (২৬) নিজের বাসায় ২৩ বছর আগে অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হন। নীতুর পাশে ঘুমিয়ে থাকা তাঁর এক বছর বয়সী বোন ওই দিন অ্যাসিডে দগ্ধ হয়ে মারা যায়। ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন গীতার স্বামী। এর কোনো বিচার পাননি তিনি।
পারিবারিক সম্পত্তির দ্বন্দ্ব থেকে ২০১২ সালে চাচাতো ভাইয়ের অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হন ঋতু সাইনি (১৯)।
সূত্র: ইয়াহু নিউজ, গ্লোবাল সিটিজেন