করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এখন পারতপক্ষে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁদের নিয়মিত চেকআপের সংখ্যাও কমিয়ে আনা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিনেই কাজ চলছে। দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়াও প্রায় বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এ সময় দাঁতে গর্ত, ব্যথা, মুখ ফুলে যাওয়া ও মাড়ির রোগের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে। কাজেই দাঁত ও মুখের যত্নের বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি।
গর্ভকালীন প্রথম ও শেষ তিন মাস দাঁত ও মুখের অনেক কার্যকর চিকিৎসা দেওয়া যায় না। সময়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই ডেন্টাল চেয়ারে অবস্থান, ওষুধ বা এক্স–রে সব বিষয়েই নানা বিধিনিষেধ আছে। করোনা মহামারির সময় এ কথা আরও বেশি করে প্রযোজ্য।
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করণীয়
* গর্ভধারণের সিদ্ধান্তের আগেই দরকার হলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দাঁত পরিষ্কার করা ও ফ্লস ব্যবহারের সঠিক নিয়ম শিখে নিন।
* নিয়ম মেনে সকালে নাশতার পর ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুই মিনিট ধরে ছোট মাথার নরম টুথব্রাশ ও মানসম্মত পেস্ট দিয়ে দাঁতের সব পৃষ্ঠ পরিষ্কার করুন এবং ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন।
>অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এ সময় দাঁতে গর্ত, ব্যথা, মুখ ফুলে যাওয়া ও মাড়ির রোগের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে
কাজেই দাঁত ও মুখের যত্নের বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি
* মর্নিং সিকনেস বা বমিভাব নিয়ন্ত্রণে ব্রাশ করার সময় অন্যদিকে মনোযোগ দিন। বমি হলে তার এক ঘণ্টার মধ্যে ব্রাশ না করাই শ্রেয়। খুব অস্বস্তি হলে পেস্ট ছাড়া ব্রাশ ব্যবহার ও মাড়ি ম্যাসাজ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে ফ্লোরাইড বা অন্য কোনো জীবাণুনাশক মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
* পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর দিন। গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ থেকে গর্ভস্থ শিশুর দাঁত গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ সময় প্রচুর ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজন। মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করুন।
* মুখে যেকোনো অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ করলে টেলিফোনে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।