ফেসবুকে আছে রেস্তোরাঁ বা খাবারের রিভিউ লেখার একাধিক গ্রুপ। বিচিত্র সব খাবার খেয়ে ভালো-মন্দ লেখেন ভোজনরসিকেরা। মূল ধারার এই খাবারগুলো ছাড়াও জীবনে আমরা অনেক খাবার খাই। তাহলে সেই খাবারগুলোর রিভিউ কেন লেখা হয় না? তাই সেটাই লিখলেন রাফি আদনান, চেখে দেখুন।
নিউমার্কেটের হকার্স থেকে শুরু করে প্যান্ট-শার্টের দোকানে ঢুকলে একদম ফ্রিতে এই খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। দাম হিসেবে আপনাকে তাদের একটি শার্ট বা প্যান্ট পরতে হবে। এরপরই ‘পাম্প’ বা বাতাস খেতে পারবেন অনায়াসে। ‘মামা, এই শার্টটায় আপনারে একদম শাহরুখ খানের মতো লাগতাছে’, ‘মামা, এই প্যান্টটা পুরা ফিট হইছে, আপনার যা ফিগার...’—এমন ‘পাম্প’ খেয়ে আপনি নিজেকে মনের অজান্তেই অনেক কিছু ভেবে বসবেন! সার্ভিস ও ব্যবহার অতুলনীয়।
মিষ্টি এই খাবারটা জীবনে নতুন এক অভিজ্ঞতার জন্ম দেবে। ছ্যাঁকা খেলে একটু তিক্ত অভিজ্ঞতারও জন্ম হতে পারে। খাওয়ার পর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জর্জরিত হতে পারেন। তাই যাঁরা খাবেন, বুঝেশুনে খাবেন। সার্ভিসটা অসাধারণ। বেশ কদিন দুষ্টু-মিষ্টি করে আপনার সঙ্গে সময় কাটিয়ে দেবে। তারপর সুযোগ বুঝে একদিন আপনাকে এই সুস্বাদু খাবারটি খাইয়ে দেওয়া হবে। প্লেস ও এনভায়রনমেন্ট নিয়ে বলার কিছু নেই। মুঠোফোন, ফেসবুক, হোয়্যাটসঅ্যাপ বা সামনাসামনিও আপনাকে ছ্যাঁকা খাওয়াতে পারে। মূল্যটা একটু বেশি নিয়ে নেয় মাঝেমধ্যে!
খাবার তালিকায় সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার ক্রাশ। এটা এমন এক খাবার, যেটা যখন-তখন যেখানে-সেখানে খাওয়া যায়। কিছু মানুষ তো ক্রাশ খাওয়া নিয়ে এতই মেতে ওঠেন যে তারা পানির চেয়ে ক্রাশই বেশি খান। জনপ্রিয়তা দেখেই বোঝা যায় এই খাবার খেতে মূল্য, পরিবেশ, সার্ভিস কিছুই তেমন একটা দেখা লাগে না।
অত্যন্ত উপাদেয় এই খাবারটি আপনি খেতে পারেন বন্ধুমহল থেকে, পরিচিত বড় ভাই বা ছোট ভাই থেকে শুরু করে প্রায় সবার কাছ থেকেই। ভাগ্য খুব সুপ্রসন্ন হলে অনেক কাছের মানুষও খাওয়াতে পারে। রেসিপি নিয়ে কিছুই বলার নেই। সার্ভিসের ব্যাপারে একটা কথা, এই খাবার দেওয়ার আগে একবার সতর্ক করে দিলে বদহজম কম হতে পারে। দামটাও আরেকটু কম নেওয়া যায়।