পরীক্ষার দিন সকালে পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে মায়েদের উপদেশের বন্যা বইতে শুরু করে। ক্রিকেট খেলায়ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিন সকাল থেকে যদি ক্রিকেটারদের মায়েরাও তেমন উপদেশ দিতেন, তাহলে সেগুলো কেমন হতো? কষ্ট করে ভাবতে হবে না। আমরাই আপনার হয়ে ভেবে দিচ্ছি...
: মা, একটা ডিম দাও।
: এই ডিম খেয়েই গত ম্যাচে আন্ডা মারছস। আজকে রান করতে হবে তোকে। আজকে তোর কপালে কোনো ডিম নাই।
: ম্যাচের আগের রাতে ব্যাট–প্যাড সব পরীক্ষা করে দেখবি। ব্যাটের হাতল ঠিক আছে কিনা, গ্লাভসের ব্রাশ ঠিক আছে কিনা, হেলমেটের ফিতা আছে কিনা—সব দেখবি। আর ওগুলা গুছায়া চোখের সামনে রেখে দিবি। তাহলে আর কিছু ভুলবি না।
: এইসব কি ভোলা যায়, মা!
: ইশ্, কত যেন মনে রাখে! গত সিরিজেই তো বিজয়ের ব্যাট নিয়ে মাঠে নামলি, সেটা মনে নাই?
: এত স্লো খেললে হবে? ম্যাচ ফি কাইটা রাখলে মজা বুঝবি!
: হ্যাঁ, মা। নতুন নিয়ম হইছে। এখন স্লো খেললে ম্যাচের শেষ সময়ের প্রতি ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে একজন খেলোয়াড় কম রাখতে হয়! অনেক প্যারা!
: কঠিন বোলারটাকে কোনোরকমে খেলেটেলে যেটা সহজ, মানে যার বলে ছক্কা মারতে পারবি, ওটার ওপর চড়াও হবি।
: আমার তো সবই সহজ মনে হয়।
: তাইলে একটা হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারস না কেন?
: খবরদার! নিজেদের ম্যাচের পরিকল্পনা বিপক্ষ দলকে বলবি না!
: আরে, কী যে বলো! এটা কি বলা যায়?
: চুপ থাক! গত ম্যাচেও তো নিজেরা যা পরিকল্পনা করছিলি, সব ওরা জেনে ফেলছিল।
: ইদানীং তোকে দেখি খেলা বাদ দিয়ে গ্যালারির দিকে তাকায় থাকস। তা বাপ, কারে দেখস তুই?
: কাউকে দেখি না, আম্মা! লোকজন পেছন থেকে অটোগ্রাফ আর সেলফি তোলার জন্য চিল্লাফাল্লা করে। তাই একটু তাকাই আরকি!
: খেলতে যাওয়ার আগে ফিকশ্চারটা কিন্তু চেক করিস বাবা!
: জি, আম্মা, করব।
: আজকে কার সঙ্গে খেলা, দেখে নিছিস?
: হ্যাঁ, আফগানিস্তানের সঙ্গে।
: দেখিস কিন্তু! আফগানিস্তান যাতে অস্ট্রেলিয়া হয়ে না যায়!
: পাশের বাসার জনিকে দেখ! সারা দিন ব্যাট-বল নিয়ে পড়ে থাকে। ১০টা সেঞ্চুরি করছে পোলাডা...
: এখন থেকে আমিও সেঞ্চুরি করব।
: কর বাবা, কর! না হলে তো পাশের বাসার ভাবির কাছে মুখ দেখাতে পারব না!