আনিসুল হকের লেখা

এত বড় রাজনৈতিক কৌতুক!

১.

একবার অলিম্পিকে দুজন প্রতিযোগী দৌড়াল। একজন আমেরিকান, একজন রুশ। আমেরিকান দৌড়বিদ সোনা জিতল।

রাশিয়ার কাগজ প্রাভদায় খবর ছাপা হলো। এবার অলিম্পিক দৌড়ে রাশিয়া খুব ভালো করেছে, তারা দ্বিতীয় হয়েছে। আমেরিকান দৌড়বিদ খুব খারাপ করেছে। তারা শেষের জনের সামনে ছিল।

এটাকে বলা হয় রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম।

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

২.

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্রেজনেভ ফলের দোকানে গেলেন। সেখানে একটামাত্র তরমুজ ছিল। ব্রেজনেভ বললেন, ‘তোমার তরমুজের দাম কত?’

‘কোন তরমুজটা?’

তোমার দোকানে তো মাত্র একটা তরমুজ। আবার কোন তরমুজটা বলছ কেন?’

‘জি, এটার দাম ২০০ টাকা।’

ব্রেজনেভ টাকা দিলেন। দোকানি বলল, ‘কোন ব্রেজনেভকে দেব?’

‘তুমি কতজন ব্রেজনেভকে দেখছ?’

‘একজনকেই দেখছি। কিন্তু আপনিই তো শিখিয়েছেন, আমাদের বেছে নিতে হবে।’

এটাকে বলা হয় নির্বাচন।

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

৩.

প্রেসিডেন্ট বুশ যাচ্ছেন মুরগির খামার পরিদর্শনে। পথে কতগুলো মুরগির বাচ্চা পড়ল। বুশ তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কোন পার্টি সমর্থন করো!’

মুরগির বাচ্চারা বলল, রিপাবলিকান পার্টি।

খামার পরিদর্শন শেষ করে বুশ ফিরছেন। তিনি আবারও মুরগির বাচ্চাদের দেখা পেলেন। বললেন, ‘তোমরা কোন পার্টি সমর্থন করো?’

‘আমরা ডেমোক্রেটিক পার্টি সমর্থন করি।’

‘এই, কী বলছ। একটু আগেই না তোমরা বললে তোমরা রিপাবলিকান?’

‘তখন তো আমাদের চোখ ফোটেনি। এখন ফুটে গেছে।’

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

৪.

একজন আমেরিকান, আরেকজন রুশ। বাহাস হচ্ছে। আমেরিকান বলল, আমাদের দেশে এত বাক্‌স্বাধীনতা আছে যে আমি হোয়াইট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে পারব, মিস্টার বাইডেন, আমি আপনার শাসন পছন্দ করি না। তুমি পারবে?

অবশ্যই পারব। আমি হোয়াইট হাইসের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে পারব, মিস্টার বাইডেন, আমি আপনার শাসন পছন্দ করি না।

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

৫.

বেশ জোরেশোরেই বলল রাবিনোভিচ:

‘শালার অভিশপ্ত জীবন!’

সাদা পোশাকধারী কেজিবি এসে বলল তাকে—

‘আমার সঙ্গে যেতে হবে আপনাকে।’

‘আমি তো খারাপ কিছু বলিনি। বলছিলাম পশ্চিমা পুঁজিবাদী দেশগুলোর অভিশপ্ত জীবনের কথা।’

‘আপনি বললেন আর আমি বিশ্বাস করলাম? অভিশপ্ত জীবন কোথায়, তা ভালো করেই আমাদের জানা আছে। চলুন, আমার সঙ্গে।’

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

৬.

রুশ পত্রিকায় ছবির নিচে পরিচিতি ছাপা হয়েছে:

শূকরের পালের সঙ্গে ব্রেজনেভ। বাঁ থেকে তৃতীয়।

কৃতজ্ঞতা: মাসুদ মাহমুদের লেখা সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ এবং অন্যান্য