কদিন ধরেই নব্বইয়ের দশকের নস্টালজিয়ায় পূর্ণ একটা ছবি ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যাঁরা নব্বইয়ের দশকে বেড়ে উঠেছেন, ছবিটা একঝলক দেখে তাঁদের অনেকেরই নাকি মনে পড়ে যাচ্ছে পুরোনো টুকরো স্মৃতি।
‘হাওয়ামে উড়তা যায়ে, মেরা লাল দোপাট্টা মাল মাল’ থেকে শুরু করে ‘ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট, হি ইজ আ হিরো’—এমন গানও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এই এক ছবি। ছবিটি আদতে সেই প্রজন্মের জন্য, যারা কম্পিউটার চেনার আগেই চিনেছিল চাচা চৌধুরীকে (চাচা চৌধুরীর মস্তিষ্ক কম্পিউটারের চেয়েও প্রখর*)।
যারা রাত ৯টা বাজলেই বিটিভি খুলে বসে থাকত; স্কুলের করিডরে মাইকেল জ্যাকসনের ‘মুন ওয়াক’ অনুকরণের চেষ্টা করত; যারা আইফোন নয়, বড় হয়ে একটা ‘সুইস নাইফ’ কেনার স্বপ্ন দেখত—ছবিটির মর্ম বুঝবে মূলত তারাই।
আলোচিত এই ছবি এঁকেছেন জাহিদুল হক। ‘আরজে অপু’ নামেই তাঁর পরিচিতি। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় তারকা, লেখক, গায়ক, কার্টুন চরিত্রসহ নানা কিছু তুলে ধরেছেন অপু। যদিও ‘নাইনটিজ কিড’দের অনেকেই এই ছবিতে নিজের ছেলেবেলা খুঁজে পাচ্ছেন, তবে এটি আঁকা হয়েছে মূলত ৯৮-২০০০ ব্যাচের (যাঁরা ১৯৯৮ সালে এসএসসি ও ২০০০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন) একটি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ম্যাগাজিনের জন্য। অপু বলেন, ‘এই ছবির মাধ্যমে নব্বইয়ের রঙিন পপ কালচারটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা যাদের দেখেছি, যাদের কারণে আমাদের চিন্তার জগৎ পরিবর্তিত হয়েছে, যে চরিত্রগুলো দেখে আমরা নস্টালজিক হই, তাদের আঁকার চেষ্টা করেছি। ছবিটা সবাই এত পছন্দ করবে, ভাবতে পারিনি।’
এবার মিলিয়ে দেখুন তো, কজনকে আপনি চিনতে পারলেন: বাটুল দি গ্রেট, সাবু, হারকিউলিস, নন্টে ফন্টে, ‘মোস্তফা গেমের চরিত্ররা’, জেমস, ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট, আন্ডারটেকার, অরণ্যদেব (ফ্যান্টম), র্যাম্বো, তিন গোয়েন্দা, হিমু, ক্যাপ্টেন হ্যাডক, টিনটিন, ব্রুস লি, থ্রি স্টুজেস, উন্মাদ, হানিফ সংকেত, চাচা চৌধুরী, হুমায়ূন আহমেদ, বাকের ভাই, মিনা, রাজু, মিঠু, মি. বিন, ম্যাকগাইভার, মি. টি, রোবোকপ, মাইকেল জ্যাকসন, আইয়ুব বাচ্চু ও নাইট রাইডার।