তীব্র শীতে অনেকেই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে ভয় পান। কিন্তু গরম পানি দিয়ে গোসল করারও আছে নানা বিপত্তি। পানি ঠিক কতটুকু গরম করতে হবে, তা বুঝতে না পেরে অনেকেই পড়েন দুর্ঘটনার কবলে। তাই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাই নিরাপদ। এতে গ্যাসের খরচ হয় কম, যা দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি–সংকটে বেশ কার্যকর। আজ আমরা জানাব শীতের সকালে বরফশীতল ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার সহজ, কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর কিছু পরামর্শ...
ঠান্ডা পানিতে গোসল করার জন্য লাগবে ঠান্ডা পানি এবং একরাশ আত্মবিশ্বাস। প্লাস্টিকের বালতি, মগ, সাবান, তোয়ালে অথবা গামছা। এ ছাড়া আপনি চাইলে প্রয়োজনমতো সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথমে বাথরুমে গিয়ে দুই পায়ের ওপর ভর দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান। নিশ্চিত হয়ে নিন, বালতিতে পানি আছে কি না। পানি না থাকলে অযথা বাথরুমে দাঁড়িয়ে থাকার কোনো কারণ নেই।
যাহোক, বালতিভর্তি ঠান্ডা পানি দেখে আতঙ্কিত হবেন না। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়ুন। চোখ বন্ধ করে ভাবুন বালতিতে কুসুম কুসুম গরম পানি। মনে মনে নিজেকে বলুন, ‘আমি পারব, আমি পারব।’
এবার ডান হাতে শক্ত করে মগটি ধরুন (যারা বাঁহাতি, তাঁরা বাঁ হাতে ধরবেন)। দ্রুত নিচু হয়ে বালতি থেকে পানি উঠিয়ে মাথায় ঢালুন।
কয়েকবার পানি ঢালার পর কন্ডিশন আপনার আয়ত্তে চলে আসবে। তবু সাবান বা শ্যাম্পু দেওয়ার সময়কার বিরতিটাই সবেচেয়ে কঠিন।
এ সময় ঠান্ডায় আপনার শরীরে মৃদু কিংবা মাঝারি কম্পনের সৃষ্টি হতে পারে। একে ভূমিকম্প ভেবে ভুল করবেন না।
এ সময় গান বা কবিতা আবৃত্তির চেষ্টা করতে পারেন। তারপর আবার পানি ঢালুন। পানি ঢালা শেষে গা মুছতে গিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না। তাড়াহুড়া করতে গিয়ে পা পিছলে বাথরুমে পড়ে যাওয়ার প্রচুর উদাহরণ দেশ ও দেশের বাইরে বিদ্যমান।
গোসল শেষ করেই কম্বলের নিচে ঢুকে যাওয়ার চিন্তা করবেন না। গোসলের পর শরীরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এ প্রসঙ্গে ঢাকার একটি বিখ্যাত স্পার স্বত্বাধিকারী লেডি যাগা বলেন, ‘শীতে আমাদের ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ, প্রাণহীন। তাই গোসল শেষে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।’