‘শরীরে যদি এসি লাগিয়ে নিতে পারতাম।’ গরমে অতিষ্ঠ হয়ে হরহামেশাই এমন কথা আমরা বলি। গায়ে এসি লাগানোর সে সরস বচন সত্যি না হোক, অন্তত শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পোশাক পেতে বোধ হয় খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। এসির ভবিষ্যৎ ব্যবহার নিয়ে তো বেশ কথা হলো। স্বস্তির এ যন্ত্র এল কী করে সেদিকে না হয় একটু চোখ বুলাই!
সেজন্য আমাদের ঘুরে আসতে হবে প্রচীন মিসর! কারণ, এসি তৈরির মৌলিক ধারণা এসেছে প্রাচীন মিসর থেকেই। মিসরীয়রা মরুভূমির শুষ্ক বাতাস থেকে স্বস্তির পরশ পেতে জানালার ধারে ভেজা মাদুর ঝুলিয়ে রাখত। সে মাদুর থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়া পানি শুষ্ক বাতাস প্রতিরোধ করত, ফলে শীতল থাকত ঘর। শুধু মিসরীরা নয়, এরপর প্রাচীন রোমে অনেকে ঘর ঠান্ডা রাখতে দেয়ালে পানিপ্রবাহ তৈরি করত। গবেষকেরা এমন প্রাচীন এ কার্যক্রমকে এসির বিবর্তনের ইতিহাস হিসেবে বিবেচনা করছেন।
তবে আধুনিক শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয় উনিশ শতকের গোড়ার দিকে। মার্কিন প্রকৌশলী ওয়াইলস ক্যারিয়ার নিজের ঘর ঠান্ডা রাখতে একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। সেটা ১৯০২ সালের কথা। ওয়াইলস ক্যারিয়ারের উদ্ভাবিত সে শীতলীকরণ যন্ত্রটিই আধুনিক শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র।
সূত্র: লাইভসায়েন্স