বাবা: তোমার রিপোর্ট কার্ডটা নিয়ে এসো দেখি।
ছেলে: বাবা, আমার রিপোর্ট কার্ডটা আমার এক বন্ধু ধার নিয়েছে।
বাবা: কেন? বন্ধুর রেজাল্ট কি খুব খারাপ হয়েছে? তোমার কার্ড দেখিয়ে বকার হাত থেকে বাঁচতে চায়?
ছেলে: না, ও ওর মা–বাবাকে ভয় দেখাতে চায়!
শিক্ষক: তাহলে আপনি বলতে চাইছেন, রোকনের খুব জ্বর হয়েছে এবং ও আজ স্কুলে আসতে পারবে না?
এপাশ থেকে: হুঁ!
শিক্ষক: আপনি কে বলছেন?
এপাশ থেকে: আমার আব্বু বলছি।
চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে বাবা ছেলেকে বলছিলেন, বাঘ কত ভয়ংকর প্রাণী, কী ভীষণ হিংস্র...!
ছেলে (কাঁদো কাঁদো হয়ে): বাবা, এই বাঘ যদি তোমাকে খেয়ে ফেলে...
বাবা (আদুরে স্বরে): কী হবে তাহলে?
ছেলে: আমি বাসায় যাব কীভাবে! ভ্যা...
ছেলে বাবার কাঁধে বসে চুল টানছে।
বাবা: চুল টানা বন্ধ করো।
ছেলে: চুল টানছি না তো বাবা, আমার চুইংগামটা ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করছি!
বাবা: ক্লাস সেভেনে উঠে তোমার কেমন লাগছে?
ছেলে: খুবই খারাপ, বাবা।
বাবা: বলো কী! কেন? ক্লাস সেভেনেই তো আমি আমার জীবনের সেরা তিনটা বছর কাটিয়েছি!
ছেলে: বাবা, আমাকে আরেক গ্লাস পানি দাও।
বাবা: তোমার এত পানি লাগে কেন? তোমাকে এরই মধ্যে ১০ গ্লাস পানি দিয়েছি।
ছেলে: কিন্তু বাবা, বিছানায় যে আগুন ধরিয়েছি, সেটা তো নিভছে না!
বাবার অফিসের বস বাসায় আসবেন বেড়াতে। ছোট্ট মেয়ে টুনি তাই মাকে ঘরের কাজে সাহায্য করছিল। রান্না, টেবিল গোছানো...সব কাজেই সে মাকে সাহায্য করল। যথাসময়ে অতিথিরা এসে হাজির।
বাবা: টুনি, মা আমার, তুমি খুব সুন্দর করে টেবিল সাজিয়েছ। কিন্তু তুমি বোধ হয় একটা কাজ করতে ভুলে গেছ। গেস্টদের প্লেটের পাশে চামচ আর ছুরি দাওনি কেন?
টুনি: গেস্টের তো ওগুলো লাগবে না, বাবা।
বাবা: কেন?
টুনি: তুমি না একটু আগে মাকে বলছিলে, ‘আমার বস লোকটা ঘোড়ার মতো খায়!’
খাবার টেবিলে বসে কথা বলছিল বাবা–ছেলে—
ছেলে: বাবা, তেলাপোকা খেতে কেমন?
বাবা: খাওয়ার সময় বাজে কথা বলতে হয় না। চুপচাপ খাওয়া শেষ করো। পরে শুনব।
খাওয়া শেষ হওয়ার পর—
বাবা: হুম, কী যেন বলছিলে?
ছেলে: বলছিলাম, ডালে একটা তেলাপোকা পড়েছে। কিন্তু তুমি তো সবটুকু ডাল খেয়ে ফেলেছ!