যাপিত রম্য

যা খেলে ওয়েট* কমবে

ওয়েট বা ওজন হচ্ছে আমাদের দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মতো, একবার বাড়লে আর কমার লক্ষণ দেখা যায় না। তাই ‘ওয়েট’ শব্দটা আমাদের অনেকের জন্য ভীতিজাগানিয়া। কী করে ওয়েট কমানো যায়, তা ভাবতে গিয়ে অনেকেই চিন্তায় চিন্তায় আরও খানিকটা ওয়েট বাড়িয়ে চলেছেন। আপনিও যদি এই দলে পড়েন, তাহলে এই লেখা আপনার জন্য নয়। তাহলে কাদের জন্য? পড়েই দেখুন না...

পিক্সাবে

ঘুষ

ঘুষ একটি চমৎকার সুষম খাদ্য, যা ওয়েট কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। শুধু নিয়ম মেনে রোজ সকাল-দুপুর-বিকেল-সন্ধ্যা-রাতে পাঁচবেলা ঘুষ খেলেই ম্যাজিক। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ঘুষখোর কল্যাণ সমিতির সভাপতি ঘুষাল চৌধুরী সামান্য ঘুষের বিনিময়ে বলেন, ‘ঘুষ এমন চমৎকার এক খাবার, যা খাওয়ার পাশাপাশি টাকাপয়সাও পাওয়া যায়। তবু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন, যাঁরা ঘুষ খেতে অবহেলা করেন। কিন্তু ঘুষ খেলে দিনে দিনে ব্যক্তির ওয়েট কমবেই। তাই এখন থেকেই সুস্থ মানসিকতা নিয়ে ঘুষ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।’

তেল

ভালোমন্দ খেয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেই কেবল চলবে না। তেল খেতে হবে নিয়মিত। বলতে পারেন, তেল তো নিয়মিতই খাচ্ছি আমরা। তা খাচ্ছি বটে। সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, জলপাই তেল, রেস্তোরাঁর বাসি তেল...কত তেল! তাই কবি বলেছেন, এই তেল তেল নয়, আরও তেল আছে। আমরা বলছি, অধীনস্থের পাত্র থেকে চুইয়ে চুইয়ে পড়া তেল। এই পরামর্শ বস-গোত্রীয়দের জন্য একান্ত পালনীয়। তেলবাজ অধীনস্থদের ভালোবাসতে হবে, কাছে টানতে হবে। ওরাই তো তেল দেয় অকাতরে, কারণে-অকারণে। আর ওই তেল খেলেই না ওয়েট কমবে! এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বস বলেন, ‘সমাজে আমার ওয়েট অত্যন্ত কম। কেন জানেন? কারণ, আমি কিছু অধীনস্থের দেওয়া তেল খাই সকাল-বিকেল। ওরাও অবশ্য তেলের বিনিময়ে খাদ্য পায়। এতে করে ওদের ওজন বাড়ছে আর আমার কমছে ওয়েট।’

ঝাড়ি (ফাঁকিবাজি করে)

ঝাড়ি এমন এক খাদ্য, যা খেয়ে অনেকে হজম করতে পারে না। কিন্তু ব্যাপক গবেষণায় জানা গেছে, কাজে ফাঁকি দিয়ে বসের নিয়মিত ঝাড়ি খেয়ে ঠিকভাবে হজম করতে পারলে নাকি উল্লেখযোগ্য হারে ওয়েট কমে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার এবং ঘুম থেকে উঠে আরেকবার ঝাড়ি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এ ব্যাপারে বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ সমুদয় খান বলেন, ‘নিয়মিত বকা খাওয়ার কাজ করলে আমাদের ওয়েট ঈর্ষণীয়ভাবে কমে। তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে, মানুষ যখন ঝাড়ি দেবে, তখন তার মাত্রা যেন ১৫-২০ ডেসিবলের মধ্যে থাকে।’

*ওয়েট (Weight): গুরুত্ব