ফ্রিজে লাইট থাকে, কিন্তু ফ্রিজারে লাইট থাকে না কেন?

ছবি: পেক্সেলস

মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে একবার ফ্রিজ খুলে দেখা অনেকেরই অভ্যাস। ফ্রিজ খুললে ভেতরে বাতি জ্বলে ওঠে, এ জন্য খুব সহজেই বোঝা যায় ভেতরে কী আছে। কিন্তু যদি মাঝরাতে ফ্রোজেন কিছু খেতে ইচ্ছা করে, তখন কী হয়? নিঃসন্দেহে আপনি ফ্রিজারের (ডিপ ফ্রিজ) দরজাটাই খোলেন। ঘরে আলো না থাকলে ফ্রিজারের ভেতরে কী আছে, তা কিন্তু বোঝার জো নেই। কারণটা আপনিও জানেন, ফ্রিজারে সাধারণত লাইট থাকে না। কথা হচ্ছে, ফ্রিজে লাইট থাকে, কিন্তু ফ্রিজারে লাইট থাকে না কেন?

যুক্তরাষ্ট্রের করনেল ইউনিভার্সিটির স্যামুয়েল কার্টিস জনসন গ্র্যাজুয়েট স্কুলের অর্থনীতির অধ্যাপক রবার্ট হ্যারিস ফ্র্যাঙ্ক বিষয়টির ব্যাখ্যায় বলেছেন, এটি হচ্ছে ‘কস্ট-বেনিফিট প্রিন্সিপাল’-এর আদর্শ উদাহরণ। অর্থাৎ গ্রাহককে এমন কিছুর জন্য টাকা খরচ করতে বাধ্য না করা, যেটা আসলে তার তেমন কোনো প্রয়োজন নেই। একজন গ্রাহক ফ্রিজে বাতি থাকার ব্যাপারটি যতটা গুরুত্ব দেন, ফ্রিজারে বাতি থাকায় অতটা গুরুত্ব দেন না। এ জন্য কোম্পানিগুলোও ফ্রিজারে বাতি যোগ করার জন্য বাড়তি খরচের দিকে যায় না।

গ্রাহকের কাছে ফ্রিজে লাইট থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বেশির ভাগ সময় ফ্রিজটাই ব্যবহৃত হয়। বেশির ভাগ রেডি-ফুড ফ্রিজেই থাকে, তাই মানুষ কারণে-অকারণে ফ্রিজটাই বেশি খোলে। কিন্তু ফ্রিজার কেউ এতবার খোলে না।

আরেকটি কারণ হচ্ছে ফ্রিজারে লাইট থাকলেও সম্ভবত তা বরফের নিচে ঢাকা পড়ে যেত। এখন যদিও ‘সেলফ-ডিফ্রস্টিং’ ফ্রিজ আছে, যেগুলোতে সহজেই লাইট লাগানো যায়। কিন্তু গ্রাহকেরা ইতিমধ্যে মেনেই নিয়েছে যে ফ্রিজারে লাইট থাকবে না এবং এটা নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগও নেই। যদিও কোনো কোনো কোম্পানি এখন লাইটযুক্ত ফ্রিজার তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি করছে; কিন্তু সেগুলো অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সেটিও বলা যায় না।