ট্যাক্সিচালক যখন শার্লক হোমসের চেয়েও প্রখর

আলবার্ট আইনস্টাইন
সংগৃহীত

আইনস্টাইনকে যে ঠিকই চিনেছিল

তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমায় মানবতা বিপর্যস্ত। জার্মান পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইনও এ নিয়ে দারুণ শোকাহত। হাজার হলেও তাঁর নিজের আবিষ্কৃত সূত্রের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল এই বোমা। কিন্তু তাঁর আবিষ্কৃত এ সূত্র নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে তখন ব্যাপক হইচই। অনেকের মুখেই পৃথিবীর সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীর স্বীকৃতি মিলছে। এ সময় তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে আইনস্টাইনের দিকে অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বন্ধুর ছোট্ট সন্তানটি চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। তখন আইনস্টাইন ছেলেটির মাথায় হাত রেখে বলেন, ‘গত কয়েক বছরে তুমি একমাত্র ব্যক্তি, যে ঠিকভাবে আমাকে চিনতে পেরেছ এবং আমার সম্পর্কে সঠিক বর্ণনা দিতে পেরেছ।’

স্যার আর্থার কোনান ডয়েল

চালক যখন শার্লক হোমসের চেয়েও প্রখর

শার্লক হোমসের স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল প্যারিসে বেড়াতে গেছেন। একটা ট্যাক্সিতে উঠতেই ট্যাক্সিচালক তাঁকে প্রশ্ন করলেন, ‘কোথায় যাবেন, মিস্টার ডয়েল?’

আর্থার কোনান ডয়েল অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, ‘তুমি আমাকে চিনলে কী করে?’

চালক উত্তর দিলেন, ‘কাগজে দেখেছিলাম, লেখক স্যার আর্থার কোনান ডয়েল প্যারিসে এসেছেন। আর আপনার ডান হাতের আঙুলে কালি লেগে আছে দেখে বুঝলাম যে আপনি লেখক। তা ছাড়া আপনার চালচলন, পোশাক দেখেই বুঝেছি যে আপনি নির্ঘাত ইংরেজ।’

‘বাহ্, তোমার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা যে আমার শার্লক হোমসের চেয়েও প্রখর! সামান্য কয়েকটা লক্ষণ দেখেই তুমি আমাকে চিনে ফেললে!’

চালক বললেন, ‘অবশ্য আপনাকে চিনতে আরও একটা ব্যাপার সাহায্য করেছে।’

‘সেটা কী?’ উৎসুক হয়ে কোনান ডয়েল জানতে চাইলেন।

‘আপনার হাতের ব্যাগের গায়ে বড় বড় করে আপনার নাম লেখা আছে।’