বাবু: আমরা সব প্রশ্নের উত্তর একই লিখলাম, তুই পাঁচ পেলি কিন্তু আমি শূন্য পেলাম কেন?
লাবু: জানি না তো।
বাবু: আচ্ছা, সাত নম্বর প্রশ্নের উত্তরে তুই যেন কী লিখেছিলি?
লাবু: লিখেছি, ‘আমি জানি না।’ কেন? তুই কী লিখেছিস?
বাবু: লিখেছি, ‘আমিও জানি না!’
পাঁচ ফুট লম্বা এক ছেলে গেছে পাত্রী দেখতে।
পাত্রীর বাবা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাবা, তোমার হাইট কত?’
ছেলে বলল, ‘৫ ফুট ১০ ইঞ্চি।’
ছেলের মা পাশেই বসে ছিলেন। তিনি ছেলেকে বললেন, ‘চুপ কর বাপ, এটা ফেসবুক না।’
ছেলে বলল, ‘স্ট্যাটাস এডিট করব?’
মা বললেন, ‘রতন, প্রতিদিন অন্তত একটা ভালো কাজ করবি।’
পরদিন রতন বলছে মাকে, ‘মা, জানো, আজ আমি একটা ভালো কাজ করেছি।’
মা বললেন, ‘কী কাজ?’
রতন বলল, ‘আমি আর আমার বন্ধু মিলে এক বুড়ো দাদুকে রাস্তা পার করে দিয়েছি।’
মা বললেন, ‘এটা করতে দুজন লাগল কেন? তুই একাই তো করতে পারতি।’
রতন বলল, ‘কী করব, ওই দাদু যে কিছুতেই রাস্তা পার হতে চাইছিলেন না।’
ছেলে ও মেয়ে বলল, ‘বাবা, নিউ ইয়ারের জন্য আমাদের কিছু জিনিস প্রয়োজন।’
বাবা বললেন, ‘কী লাগবে, শুনি।’
ছেলে ও মেয়ে তালিকা এগিয়ে দিল, ‘আমাদের দুজনের জন্য নতুন ড্রেস। নতুন দুটি মোবাইল ফোন, দুটি করে পারফিউম, জুতা...।’
বাবা বললেন, ‘সে ক্ষেত্রে আমারও কিছু জিনিস প্রয়োজন।’
ছেলে–মেয়ে বলল, ‘কী?’
বাবার জবাব, ‘একটা বন্দুক, একটা মুখোশ আর শহরের একটা ব্যাংকের পুরো নকশা।’
অনেকক্ষণ ধরে বাবার চুল টানছিল খোকা।
বাবা বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আহ, চুল টানা বন্ধ করো।’
খোকা বলল, ‘চুল টানছি না তো। আমি আমার চুইংগামটা ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
জাদুঘরে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে একটা চেয়ারে বসে পড়লেন মকবুল।
হায় হায় করে ছুটে এলেন জাদুঘরের কর্মীরা। বললেন, ‘আরে, করছেন কী করছেন কী! এটা নবাব সিরাজউদ্দৌলার চেয়ার!’
মকবুল বললেন, ‘ভাই, একটু বসি। সিরাজ ভাই আইলেই উইঠা যাব।’