কী কেন কীভাবে

গড়গড়া করলে গলার যন্ত্রণা কমে কেন?

লবণাক্ত গরম পানি গলার ফুলে ওঠা তন্তু থেকে বাড়তি তরল টেনে নেয়
ছবি: প্রথম আলো

ঠান্ডা লেগে অনেক সময় খুশখুশে কাশি ও গলায় এক ধরনের জ্বালা-যন্ত্রণা হয়। এ সমস্যায় আমরা বেশি ভুগি শীতকালে। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা দেখা দেয়। হালকা গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করলে ঠান্ডার এসব উপসর্গ দূর করা যায়।

সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এটা জানি। খুব সহজ হিসাব। ঠান্ডা দূর করার জন্য গরম দরকার, এটাই তো স্বাভাবিক। তাই গরম পানিতে গড়গড়া করার সুফল কীভাবে পাওয়া যায়, তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তাভাবনার দরকার পড়ে না। কিন্তু আমরা খঁুজে দেখতে পারি লবণাক্ত গরম পানি আসলে কী করে।

এর প্রধান কাজ দুটি। প্রথমত, এটা গলার ফুলে ওঠা তন্তু থেকে বাড়তি তরল টেনে নেয়। এতে গলার ব্যথা কিছুটা কমে। দ্বিতীয়ত, এটা গলায় জমে থাকা ঘন শ্লেষ্মা পাতলা করে, যার ফলে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী বিভিন্ন উপাদান, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস দূর হয়। এগুলোই আসলে অস্বস্তিকর খুশখুশে কাশির উৎস।

গবেষণায় দেখা গেছে, লবণ মেশানো হালকা গরম পানির গড়গড়ায় রোগীর শ্বাসনালির ওপরের দিকের সংক্রমণ ৪০ শতাংশ দূর হয় এবং ঠান্ডা লাগার অস্বস্তি বহুলাংশে হ্রাস পায়।

গরম পানি দিয়ে গড়গড়ার করার জন্য এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মেশাতে হবে। এই তরল মুখে নিয়ে প্রতিবার গড়গড়া করতে হবে কয়েক সেকেন্ড ধরে। বয়স্ক ব্যক্তিরা কাশি ও গলার জ্বালাপোড়া দূর করতে গরম পানিতে লেবু ও মধু মিলিয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে গড়গড়া করা পানি ফেলে না দিলেও চলে।