বাংলা ভাষায় যে বাগ্ধারাগুলো আছে, সেগুলো এল কোথা থেকে?
অনেকে অন্যের কথার মাঝখানে বাড়তি কথা বলে কিংবা মন্তব্য যোগ করে। এভাবে কথার মাঝখানে কথা বলাকে টিপ্পনী কাটা বলে। কোনো বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে কিংবা বাড়তি তথ্য যোগ করার জন্য বিভিন্ন লেখায় টীকা–টিপ্পনী যোগ করা হয়। টীকা হলো কোনো শব্দ বা বিষয়ের ব্যাখ্যা। আর টিপ্পনী হলো যে বিষয়ের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, তার ওপরে ব্যবহৃত বিশেষ চিহ্ন।
দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করা হয়। এরপর সেটিকে ৮–১০ ঘণ্টা জমিয়ে রাখলে দই হয়ে যায়। এই দই ফেটিয়ে মাখন আলাদা করা হয় ঘি বানানোর জন্য। আর বাকি অংশে পানি মিশিয়ে ভালো করে ঘুঁটে তৈরি করা হয় ঘোল। ঘোলে দুধের মূল উপাদান ননি বা মাখন থাকে না। ফলে ঘোল খাওয়ানো বলতে কাউকে ঠকানো বোঝায়।
সুতা ও এ–জাতীয় জিনিসের মুখ বা প্রান্তকে বলা হয় খেই। অনেক সময় সুতার প্রান্তভাগ বা আগা খুঁজে পাওয়া যায় না। তখন কাটিম থেকে সুতা বের করতে সমস্যা হয়। আবার মানুষ কথা বলার সময় কিংবা গল্প করার সময় অনেক ক্ষেত্রে বিষয় বা প্রসঙ্গ হারিয়ে ফেলে। কাটিমের সুতার মতো এভাবে কথার সূত্র হারিয়ে ফেললে বলা হয় খেই হারানো।
তারিক মনজুর: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়