ধরুন, আপনি কাউকে ফোন করার জন্য কিংবা একটা জরুরি ই–মেইল পাঠানোর জন্য ফোন হাতে নিয়েছেন। মিনিটখানেক পর আবিষ্কার করলেন, প্রয়োজনীয় কাজটি না করে আপনি অযথাই ফেসবুক স্ক্রল করছেন এবং কেন করছেন, তা আপনি নিজেও জানেন না! এমন অভিজ্ঞতা যদি আপনার হয়ে থাকে, জেনে রাখুন, আপনি একা নন। ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা আপনাকে বারবার ফিরিয়ে আনবে...
একাধিক গবেষণায় এরই মধ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ফেসবুকের আসক্তি অনেকটা নেশাদ্রব্যে আসক্তির মতোই। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ফেসবুকের আসক্তিকে কোকেইনে আসক্তির সঙ্গেও তুলনা করেছেন। নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব বারগেনের গবেষকেরা ফেসবুকে আসক্তি পরিমাপের একটি পদ্ধতি বের করেছেন, যাকে বলা হয় বারগেন ফেসবুক অ্যাডিকশন স্কেল (বিএফএএস)। এ পদ্ধতিতে আপনাকে ৬টি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নম্বর দিতে হবে। নম্বর দেওয়ার ৫টি মাত্রা আছে—১. খুব কম, ২. কম, ৩. মাঝারি, ৪. বেশি, ৫. খুব বেশি। যদি অন্তত ৪টি প্রশ্নের উত্তর ‘বেশি’ বা ‘খুব বেশি’ হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি ফেসবুক আসক্ত।