মার্কিন সাহিত্যিক ডব্লিউ ডি হাওয়েল্স একবার একটি কবিতা পড়ে মুগ্ধ হন। কবিতাটি তাঁকে পড়তে দিয়েছিলেন একজন নবীন উচ্চাভিলাষী কবি তাঁর স্বরচিত কবিতা আখ্যা দিয়ে।
হাওয়েল্স কবিতা পাঠ শেষ করে নবীন কবিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘খুবই চমৎকার কবিতা। আপনি কি এটা কারও সাহায্য ছাড়াই লিখেছেন?’
‘জি হ্যাঁ, স্যার’ নবীন কবি জবাব দিলেন, ‘এটার প্রতিটা শব্দই আমার।’
হাওয়েল্স তখন নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খুব খুশি হলাম, লর্ড বায়রন। আমার ধারণা ছিল, আপনি অনেক বছর আগে গ্রিসে মারা গিয়েছিলেন।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রথম প্রকাশকের সঙ্গে ঝামেলা। তা নিয়ে মামলাও হয়। আদালতে মামলায় লড়ার জন্য উকিল দরকার পড়ল তাঁর। মুজতবা আলী গেলেন ব্যারিস্টার তাপসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুজতবা আলী তাঁকে দেখে বললেন, ‘ভাই, আমি এমন একজন কৌঁসুলি চাই, যিনি আমার এই মামলাটায় আমাকে হারিয়ে দেবেন।’
তাপসকুমার রসটা ধরতে পেরে বললেন, ‘আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আমি এখন পর্যন্ত একটা মামলাতেও জিতিনি।’
মার্কিন আইনজ্ঞ ও রাজনীতিবিদ ড্যানিয়েল ওয়েবস্টার সাধারণ লোকদের সঙ্গে মিশতে খুব ভালোবাসতেন। একবার তিনি মাছ ধরার জন্য জনৈক মিস্টার বেকারের বাড়িতে গেলেন। তাঁদের পূর্ব পরিচয় ছিল। ফলে মিস্টার বেকারের ঘোড়াটি কয়েক ঘণ্টার জন্য ধার চাইলেন ওয়েবস্টার। মিস্টার বেকারও সানন্দে ঘোড়া দিয়ে নদীতে কোথায় সাধারণ লোকে মাছ ধরে, সেটা দেখানোর জন্য নিজেও তাঁর সঙ্গে চললেন। রাস্তা ছিল খুব কর্দমাক্ত এবং ওয়েবস্টার সে কথাটি বলতেই মিস্টার বেকার বলে উঠলেন, ‘আমি জানি এবং এটাই এখানকার সবচেয়ে খারাপ দিক।’
অতঃপর মশা কামড়াতে শুরু করলে ওয়েবস্টার মশার প্রসঙ্গ তুললেন। তখন মিস্টার বেকার জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি জানি, এবং এটাই এখানকার সবচেয়ে খারাপ দিক।’
এরপর খুব গরম লাগতে শুরু করলে ওয়েবস্টার গরমের বিষয়টি বললেন। আগের মতোই মিস্টার বেকার একই কথা বললেন।
সারা দিন কাটিয়ে একটা মাছও না পেয়ে ভগ্ন হৃদয়ে ড্যানিয়েল ওয়েবস্টার যখন বললেন, ‘মিস্টার বেকার, এখানে কোনো মাছ আছে বলে তো মনে হয় না।’
মিস্টার বেকার তখন জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি জানি, এবং এটাই এখানকার সবচেয়ে খারাপ দিক।’