গীতিকার, কবি ও লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলীকে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী দুই বছরের জন্য তাঁকে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮-এর ধারা-৯ (২) অনুযায়ী তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লতিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই দায়িত্ব প্রাপ্তি আমার লেখক জীবনের জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব নজরুলের কাব্যচেতনাকে নিষ্ঠার সঙ্গে ছড়িয়ে দিতে। নজরুলচর্চার ভেতর দিয়ে আমাদের মৌলিক বিশ্বাস এবং জাতীয়তাবোধ উজ্জ্বল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
লতিফুল ইসলাম বলেন, ‘লেখক হিসেবে আমি সারা জীবনই বিদ্রোহী কবি নজরুলের মতো হতে চেয়েছিলাম। আমার লেখালেখির ভেতর যে দ্রোহ, বিদ্রোহের ছিটেফোঁটা এবং সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস, সবকিছুরই মূল অনুপ্রেরণা কাজী নজরুল ইসলাম।’
গীতিকবি পরিচয়ের বাইরে লতিফুল ইসলাম শিবলী একাধারে কবি, গায়ক, মডেল, ঔপন্যাসিক, অভিনেতাও। লিখেছেন নাটক ও চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য। নাট্যকার হিসেবে তাঁর লেখা প্রথম সাড়াজাগানো নাটক ‘তোমার চোখে দেখি’। নিজের লেখা নাটক ‘রাজকুমারী’তে মির্জা গালিবের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ও করেন তিনি।
নব্বইয়ের দশকজুড়ে ৪০০টির বেশি গান লিখেছিলেন তিনি। আইয়ুব বাচ্চুর ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’, ‘সুখেরই পৃথিবী সুখেরই অভিনয়’, ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘মাকে বলিস’; জেমসের ‘জেল থেকে বলছি’, ‘প্রিয় আকাশী’, ‘বিবাগী’, ‘পালাবে কোথায়’, ‘মন্নান মিয়ার তিতাস মলম’, ‘গিটার কাঁদতে জানে’; তপন চৌধুরী-শাকিলা জাফরের ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’; মাইলসের ‘পলাশীর প্রান্তর; সোলসের ‘হাজার বর্ষারাত’সহ বেশ কিছু সাড়াজাগানো গানের স্রষ্টা তিনি।