সেই ১০০১ সিনেমার তালিকায় ভারতের যে ১২টি সিনেমা অবশ্যই দেখা উচিত (পর্ব:২)

চলচ্চিত্র সমালোচক ও প্রযোজক স্টিভেন জে স্নাইডার। তিনি একবার হলিউডের সিনেমা নিয়ে তালিকা তৈরি করতে বসেন। তখন তাঁর মনে হয়, শুধু হলিউড নয়, সারা বিশ্বের সেরা সিনেমা নিয়ে একটা তালিকা তৈরি করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই ২০০৩ সালে একটি বই বের করেন। সিনেমাপ্রেমীদের জন্য সেই বইয়ের নাম দেন ‘এক হাজার একটি মুভি মৃত্যুর আগে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে।’ প্রশংসিত হয় এই তালিকায়। এই তালিকায় ভারত থেকে জায়গা পায় ১২টি সিনেমা।
‘অপুর সংসার’ সিনেমার পরে ৭ নম্বর তালিকায় জায়গা করে নেয় ঋত্বিক কুমার ঘটকের বিখ্যাত সিনেমা ‘মেঘে ঢাকা তারা।’ সিনেমাটি ১৯৬০ সালে মুক্তি পায়।
ছবি: আইএমডিবি
ঋত্বিক কুমার ঘটকের ১৯৬৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সুবর্ণরেখা’ রয়েছে এই তালিকায়। সিনেমায় প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভি ভট্টাচার্য, বিজন ভট্টাচার্য ও ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী।
বিজয় শ্রমিক হিসেবে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। কিন্তু ঘটনাক্রমে সে অপরাধে জড়িয়ে যায়। হয়ে যায় মাফিয়ার সর্দার। সেই ‘দিওয়ার’ সিনেমাটি এই তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে। সিনেমাটি ১৯৭৫ সালে মুক্তি পায়। বিজয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন।
৮টি শাখায় অস্কারজয়ী সিনেমা ‘গান্ধী’। এটি পরিচালনা করেছেন রিচার্ড অ্যাটেনবরো। ‘গান্ধী’র জীবনী নিয়েই এই সিনেমা। সিনেমাটি ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত।
শাহরুখ খান ও কাজলের রোমান্টিক সিনেমা ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমাটি এই তালিকায় ১১ নম্বরে রয়েছে। সিনেমাটি এখনো শাহরুখভক্তদের প্রিয় সিনেমা। এটি পরিচালনা করেন আদিত্য চোপড়া।
২০০১ সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের সেরা সিনেমার পুরস্কার জিতেছিল ভারতের ‘মুনসুন ওয়েডিং’। সিনেমা পরিচালনা করেছেন মিরা নায়ার। বিয়ে নিয়ে সিনেমার গল্প। ভারতীয় সংস্কৃতির নানা বিষয় এতে উঠে এসেছে। সিনেমাটি ভারত, যুক্তরাজ্য, ইতালিসহ ৬টি দেশের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত।