প্রখ্যাত ইরানি পরিচালক মোহাম্মদ রাসুলফকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। কারাদণ্ডের সঙ্গে তাঁকে চাবুক মারা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইরান ছেড়েছেন এই নির্মাতা। গতকাল সোমবার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন মোহাম্মদ রাসুলফ।
তুষারাবৃত সীমান্ত এলাকার ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার বন্ধু, পরিচিতজন ও লোকজনের কাছে কৃতজ্ঞ, যাঁরা সদয়, নিঃস্বার্থভাবে ও কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাকে সীমান্ত পার করে দিয়েছেন। তাঁরা কঠিন এই দীর্ঘ যাত্রার পর নিরাপদে পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন।’
এবারের কান উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে রাসলুফের সিনেমা ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’। ছবিটি কান উৎসব থেকে প্রত্যাহার চাইছিল ইরান সরকার। সে কারণেই নির্মাতাসহ ছবিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিল সরকার। কিন্তু সেটি করতে রাজি হননি রাসুলফ। এরপর তাঁকে জেল এবং চাবুক মারার আদেশ দেন আদালত। যদিও শেষ পর্যন্ত সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন নির্মাতা। ধারণা করা হচ্ছে যে ইউরোপের কোনো দেশে পাড়ি জমিয়েছেন নির্মাতা।
নির্মাতার আইনজীবী বাবাক পাকনিয়া সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে মোহাম্মদ রাসুলফ ইরান ত্যাগ করে কান উৎসবে অংশ নেবেন।’
আজই পর্দা উঠছে ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের। ৫০ বছর বয়সী রাসুলফকে ইরানের এ সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্মাতা মনে করা হয়। সিনেমাটিতে ইরানের বিচারব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২০ সালে ‘দেয়ার ইজ নো এভিল’ সিনেমার জন্য বার্লিন উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘স্বর্ণভালুক’ জেতেন রাসুলফ। ২০২২ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, পরে ইরানে বিক্ষোভ শুরু হলে সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।