পর্দায় জীবনের সেরা সময় পার করছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় অভিনেতা লি সান কিয়োন। অস্কারজয়ী সিনেমা প্যারাসাইট-এ অনবদ্য অভিনয় করে কোরিয়া ছাপিয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েন তিনি। এই সিনেমার ‘পার্ক’ চরিত্রে অভিনয়ের সুবাদে ২০২০ সালে স্ক্রিন অ্যাক্টরস অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন কি সান কিয়োন। পরের বছর অ্যাপল টিভি প্লাসের দ্য ব্রেন সিরিজে অভিনয়ের সুবাদে এমিতে মনোনয়ন পেয়েছেন। এ বছর মুক্তিপ্রাপ্ত স্লিপ ও প্রজেক্ট সাইলেন্স-এর মতো আলোচিত সিনেমায় ভেলকি দেখিয়েছেন ৪৮ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
দুই দশকের ক্যারিয়ারে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন লি সান কিয়োন। পর্দার জীবনটা জমকালো হলেও পর্দার বাইরের জীবনে নিজেকে খুঁজে ফিরছিলেন এই অভিনেতা। অভিনয়ে আলো ছড়ালেও প্রদীপের নিচে জমেছিল অন্ধকার, কালিঝুলি।
মাদক–কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর তাঁর দুনিয়া বদলে যেতে থাকে। পুলিশের অভিযোগ, বছরখানেক আগে গ্যাংনাম জেলার একটি বারে অবৈধ মাদক নিয়েছেন লি সান কিয়োন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই অভিনেতা। মাদক–কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকে একের পর এক সিনেমা থেকে বাদ পড়ছিলেন এই অভিনেতা।
তদন্তের মুখে অক্টোবর থেকে তিন দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। গত শনিবারও টানা ১৯ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদের চার দিন পর গতকাল সিউলের এক পার্ক থেকে সান কিয়োনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, এই অভিনেতা আত্মহত্যা করেছেন। বাড়িতে তিনি ‘সুইসাইড নোট’ রেখে বের হয়েছিলেন।
২০০১ সালে দ্য রকি হরর পিকচার শো দিয়ে অভিনয়ে নাম লেখান তিনি। দুই দশকে চলচ্চিত্র থেকে টিভি ধারাবাহিক, কমেডি থেকে রোমান্টিক—সবখানেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তাঁর আলোচিত টিভি ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে রয়েছে পাস্তা, গোল্ডেন টাইম ও মাই মিস্টার।
২০০৯ সালে কোরীয় অভিনেত্রী জিউন হিয়ো জিনকে বিয়ে করেন লি সান। তাঁদের সংসারে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে।