বাংলাদেশ ও ইউরোপের চলচ্চিত্র নিয়ে সপ্তাহব্যাপী ইউরোপিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শেষ হলো। গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ডাচ ক্লাবে ডাচ সিনেমা ‘হোয়াইট বেরি’ প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটেছে। উৎসবটি আয়োজন করছে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস; সহযোগী হিসেবে ছিল প্রথম আলো।
সমাপনী আয়োজনে অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ঢাকায় নবনিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডোরেন ও ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো। আয়োজনের শুরুতে প্রথম আলোসহ উৎসবের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান চার্লস হোয়াইটলি। ডাচ রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডোরেন বলেন, এই উৎসবে চলচ্চিত্রের মাস্টারক্লাসে বিভিন্ন অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তরুণদের মধ্যে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন। এটা তরুণদের সৃজনশীলতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
বক্তব্যের পর আমন্ত্রিত অতিথিরা ‘হোয়াইট বেরি’ সিনেমাটি উপভোগ করেন। অ্যালবেনিজমে আক্রান্ত এক ডাচ-আফ্রিকান কিশোরীর গল্পে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা সিয়া হারমেনিডিস। দেড় ঘণ্টার ছবিটি ২০২২ সালের ৪ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে। সিনেমা শেষে ছিল সংগীত পরিবেশনা। গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী মেহরীন।
এর আগে গত রোববার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী আয়োজনে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সপ্তাহজুড়ে ঢাকার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ও ডাচ ক্লাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। ঢাকার বাইরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রদর্শনী ছিল।
সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে ইউরোপ ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির নানা বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করার জন্য তরুণ নির্মাতাদের নিয়ে ‘মাস্টারক্লাস’–এর আয়োজন করে ইউরোপিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব কর্তৃপক্ষ।
উৎসবের অংশ হিসেবে ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিলে মাস্টারক্লাসে অংশ নেন নির্মাতা সৈয়দা নিগার বানু, চিত্রগ্রাহক অপু রোজারিও, নির্মাতা অমিতাভ রেজা ও নির্মাতা পিপলু আর খান। এতে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে তিন বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। সেরা গল্পের পুরস্কার পায় প্যাসেঞ্জার, ছবিটি পরিচালনা করেন মোস্তফা মনোয়ার। সেরা নির্মাতার পুরস্কার পান অশ্লেষা নির্মাতা আকিব মাহমুদ। সেরা সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে মেহেদি জোসেফের ‘পোস্টার’।