কিং হেনিন ওয়াই। ফেসবুক থেকে
কিং হেনিন ওয়াই। ফেসবুক থেকে

বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় আছেন মিয়ানমারের অভিনেত্রীও

প্রায় ২৫ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমা ‘সান ইয়ে’। ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান মিয়ানমারের অভিনেত্রী কিং হেনিন ওয়াই। পরে হয়ে ওঠেন বার্মিজ সিনেমার অন্যতম সফল অভিনয়শিল্পী। গতকাল বিবিসির প্রকাশ করা বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর তালিকায় আছেন বিনোদন দুনিয়ার তারকারাও। তাঁদের একজন কিং হেনিন ওয়াই।

শুধু অভিনয় নয়, নানা ধরনের সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত অভিনেত্রী। ২০১৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন কিং হেনিন ওয়াই ফাউন্ডেশন। এই স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে। তবে এতিম ও পরিত্যক্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ান তিনি। নানা কারণে সন্তানের দায়িত্ব নিতে না পারা এমন ১০০ শিশুকে সাহায্য করেছেন এই অভিনেত্রী। শিশু পাচারের বিরুদ্ধেও তিনি কাজ করেন।

বিবিসির করা এই তালিকায় আছেন ভারতীয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জাও। ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’, ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’, ‘সনজু’ ইত্যাদি সিনেমার জন্য পরিচিত এই অভিনেত্রী এখন যুক্ত নানা দাতব্য কাজের সঙ্গে।

দিয়া মির্জা

বিবিসির প্রতিবেদনে দিয়া মির্জা সম্পর্কে বলা হয়েছে, শুধু ভারতীয় সিনেমাতে নয়, পরিবেশ ও নানা মানবিক কার্যক্রমেও যুক্ত এই অভিনেত্রী। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, বিশুদ্ধ বায়ু ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেন।

দিয়া মির্জা ওয়ান ইন্ডিয়া স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতাও। এ প্রযোজনা সংস্থা এমন সব কাজ উপহার দিতে চায়, যেগুলো মানুষকে ভাবাবে।

এ ছাড়াও দিয়া সেভ দ্য চিলড্রেন, দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের শুভেচ্ছাদূত। অভিনেত্রী স্যাংচুয়ারি নেচার ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্যও বটে।

আমেরিকা জর্জিনা ফেরেনা। ইনস্টাগ্রাম থেকে

এ দুজন ছাড়া বিবিসির তালিকায় আছেন যুক্তরাষ্ট্রের অভিনয়শিল্পী আমেরিকা জর্জিনা ফেরেনা। এমি, গ্লোন্ডেন গ্লোব, সেগ পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী ২০০৭ সালে টাইম সাময়িকীর ১০০ প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্বের তালিকাতেও ছিলেন।

বিবিসি তাঁর সম্পর্কে লিখেছে, পুরস্কারজয়ী অভিনয়শিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজক তিনি। চলতি বছর বিভিন্ন রেকর্ড গড়া সিনেমা ‘বার্বি’র গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ‘আগলি বেটি’র মতো হিট সিরিজে দেখা যায় তাঁকে। এই সিরিজে অভিনয় করে প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে এমি অ্যাওয়ার্ড জেতেন তিনি, যা ছিল সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে এই পুরস্কার জয়।

অভিনয় ছাড়াও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন ফেরেনা।