২৮তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমার প্রিমিয়ার হচ্ছে আজ। উৎসবের বুসান সিনেমা সেন্টারে সিনেমাটির প্রদর্শনী রয়েছে। এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ উৎসবের ২৮তম আসরের প্রতিযোগিতা বিভাগ ‘জিসোক’-এ নির্বাচিত হয়েছে চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের অরিজিনাল সিনেমাটি।
সিনেমার প্রদর্শনীতে প্রযোজক রেদওয়ান রনি, নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা থাকবেন। প্রদর্শনী শেষে দর্শকের প্রশ্নের উত্তরও দেবেন তাঁরা। আগামীকাল সোমবার লোটে সিনেমায় সিনেমাটির আরেকটি প্রদর্শনী রয়েছে, সেখানেও প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিনেমার ট্রেলার মুক্তি দিয়েছে চরকি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও তিশার প্রেমের গল্পে আবর্তিত হয়েছে সিনেমাটি। পরিচালনার সঙ্গে প্রথমবারের মতো অভিনয়ে পাওয়া যাবে ফারুকীকে। ফারুকীর সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন তিশা, থাকছেন অভিনয়েও।
এর আগে অটোবায়োগ্রাফি নিয়ে পরিচালক বলেছিলেন, ‘আমি নানা রকম গল্প বলার চেষ্টা করেছি। সেগুলোর একেকটা একেক রকমভাবে মানুষকে স্পর্শ করেছে। অভিনয় কেমন হওয়া উচিত, কোন গল্প বলা জরুরি—এসব নিয়ে সারাক্ষণই নিরীক্ষা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যে কাজ কখনোই করার চেষ্টা করিনি, সেটা হলো অভিনয়। প্রথম দিকে এটা নিয়ে আমার মধ্যে ইতস্তত ভাব থাকলেও তিশা আমাকে একটা কথা বলে আমার সংশয় দূর করে দেয়। ও বলে, “এই গল্প তুমি জীবনে একবারই করতে পারবে। করে ফেলো, প্লিজ!”’
প্রথমবার ক্যামেরার সামনে কাজ করে কেমন লেগেছে, জানতে চাইলে ফারুকী বলেন, ‘অভিনয় তো একটা ভালনারেবল কাজ। আর এই গল্পে অভিনয় তো আরও ভালনারেবল ব্যাপার, যেখানে নিজের জীবনও কোনো না কোনো আঙ্গিকে লুকিয়ে আছে। তবে শুটিং শুরু হয়ে যাওয়ার পর তেমন কোনো আলাদা অনুভূতিই হয়নি।
মনে হয়েছে, এটা তো স্বাভাবিক। শুধু একটা জিনিস অবশ্য আলাদা ছিল—শটের সময় মনিটরে থাকা হতো না। আমার ছোট ভাই কিবরিয়া মনিটরে থাকত। আর আমি শট শেষে গিয়ে প্লেব্যাক করতাম।’