পেদ্রো আলমোদোভার ও পেনেলোপে ক্রুজ। ছবি: রয়টার্স
পেদ্রো আলমোদোভার ও পেনেলোপে ক্রুজ। ছবি: রয়টার্স

‘আমি তাকে ভালোবাসি, শতভাগ বিশ্বাস করি’

পেনেলোপে ক্রুজ ও নির্মাতা পেদ্রো আলমোদোভারের রসায়ন বিশ্ব সিনেমার দর্শকের কাছে অজানা নয়। এই স্প্যানিশ অভিনেত্রী-পরিচালক জুটি একসঙ্গে উপহার দিয়েছেন বেশ কয়েকটি নন্দিত চলচ্চিত্র। সম্প্রতি স্মার্টলেস পডকাস্টে হাজির হয়ে আলমোদোভারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন পেনেলোপে।

‘তার সঙ্গে আমার একটা আলাদা যোগসূত্র আছে, সে আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের একজন,’ প্রিয় পরিচালক সম্পর্কে এভাবেই বলেন পেনোলোপে। ১৯৯৭ সালে ‘লাইভ ফ্লেশ’ দিয়ে শুরু, এরপর গত ২৭ বছরে পেনেলোপে ও আলমোদোভার জুটিকে পাওয়া গেছে ৭টি সিনেমায়। এসব সিনেমার মধ্যে আছে ‘অল অ্যাবাউট মাই মাদার’, ‘বলবার’, ‘প্যারালাল মাদারস’ ইত্যাদি সিনেমা।

আলমোদোভারের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব নিয়ে পেনেলোপে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কটা অদ্ভুত, ব্যক্তি হিসেবে আমরা আলাদা ধরনের; তবু আমরা একসঙ্গে কাজ করলে একটা কিছু তৈরি হয়। আমি তাকে ভালোবাসি, শতভাগ বিশ্বাস করি। একই সঙ্গে তার সঙ্গে কাজ করতে গেলে একটু ভয়েও থাকি। বারবারই মনে হয়, আমার প্রতি তার যে আস্থা, সেটার প্রতিদান দিতে পারব তো!’

পেনেলোপে ক্রুজ ও পেদ্রো আলমোদোভার। এএফপি

পর্দার বাইরে দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেও সেটে কাজের ব্যাপারে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বাইরে রাখেন বলেও জানান অভিনেত্রী। পেনেলোপে জানান, তাঁরা সেটে চরিত্র, চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি সব বিষয় নিয়ে কথা বলেন; তর্কবিতর্কও হয়।
পেনেলোপেকে সর্বশেষ দেখা গেছে গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘ফেরারি’ সিনেমায়। অন্যদিকে তিন বছর পর নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন আলমোদোভার; তবে দ্য রুম নেক্সট ডোর নামে সে সিনেমাতে পেনেলোপে নেই। এতে দেখা যাবে টিলডা সুইনটন ও জুলিয়ান মুরকে।

আগামী ২৮ এপ্রিল ৫০ বছরে পা দেবেন পেনেলোপে। এ উপলক্ষে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ভ্যারাইটির সঙ্গে কথা বলেন অভিনেত্রী।

‘বলবার’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

৫০ নিয়ে রোমাঞ্চিত পেনেলোপে বলেন, ‘জীবনের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করব, এটা ভেবে আমি খুব রোমাঞ্চিত। এই নতুন ইনিংসেও আমি অনেক কিছু শিখতে চাই। কারণ, অভিনয় এমনই একটি পেশা, যেখানে সব সময়ই শেখার মধ্যে থাকতে হয়।’

একই সাক্ষাৎকারে নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ার নিয়ে পেনেলোপে আরও বলেন, ‘অভিনেত্রী হব, বরাবরই এমন স্বপ্ন দেখে বড় হয়েছি। তবে এটা আমাকে সংশয়েও ফেলেছে। কারণ, আমি এমন একটি চাকরি চেয়েছিলাম, যা আপনাকে প্রেরণা জোগাবে আর সৃজনশীলতার মধ্যে রাখবে। সব সময়ই এমন কাজের জন্য প্রার্থনা করেছি। শেষ পর্যন্ত এমন একটি পেশায় এসেছি, যা আমার স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই যে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার অনুভূতি, এটা হারাতে চাই না।’