নিউইয়র্কের ‘মিউজিয়াম অব দ্য মুভিং ইমেজ’–এ আমন্ত্রিত হয়েছে কামার আহমাদ সাইমনের নতুন ছবি ‘অন্যদিন...’। প্রতিবছর মিউজিয়াম অব দ্য মুভিং ইমেজ (মমি) ‘ফার্স্ট লুক’ নামের একটি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে। সেখানে নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র আমন্ত্রণ পায়। এ আয়োজনে বিশ্বের ৩০টি দেশের ৩৮টি ছবি আমন্ত্রিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ‘অন্যদিন...’ প্রযোজনা করেছেন সারা আফরিন।
গত নভেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আমস্টারডামে (ইডফা) প্রতিযোগিতা করেছিল ‘অন্যদিন...’ ছবিটি। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরতম থিয়েটার বলে পরিচিত তুসান্সকিতে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয় ‘অন্যদিন...’ ছবির। নিউইয়র্ক থেকে আমস্টারডামে এসেছিলেন মমির কিউরেটর ও চলচ্চিত্র সমালোচক এরিক হাইন্স। আলোচনা হয় কামারের ‘অন্যদিন...’ ছবিটি নিয়ে। সে সময়ই হাইন্স মমিতে ‘অন্যদিন...’ ছবিটির প্রদর্শনীর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
কামার আহমাদ সাইমনের জলত্রয়ীর (ওয়াটার ট্রিলজির) দ্বিতীয় ছবি ‘অন্যদিন...’। আর প্রথম ছবি ‘শুনতে কি পাও!’ আন্তর্জাতিক উৎসবে বেশ প্রশংসিত হয়। লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোর্সের উদ্বোধনী ছবি এবং প্রাচীনতম প্রামাণ্য উৎসব ডক লাইপজিগের উদ্বোধনী ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘শুনতে কি পাও!’। এই ছবি কামারকে এনে দিয়েছে প্যারিসে গ্রাঁ প্রি, মুম্বাইয়ে স্বর্ণশঙ্খ, শ্রেষ্ঠ সিনেমাটোগ্রাফিসহ আরও অনেক আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
জলত্রয়ীর দ্বিতীয় ছবি ‘অন্যদিন...’–এর স্ক্রিপ্টের জন্য ২০১৬ সালে বিশ্ব চলচ্চিত্র মঞ্চ পিয়াৎজা গ্রান্দার রেড কার্পেট ডিরেক্টরের সম্মাননা পেয়েছিলেন কামার, সেই সঙ্গে পেয়েছিলেন লোকার্নোর ওপেন ডোর্সের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার এবং আর্তে ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ। এরপরের বছর এই একই স্ক্রিপ্টের জন্য কান চলচ্চিত্র উৎসবের সিনেফন্ডেশনের লাএতেলিয়ারে নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনি।
এ ছাড়া কামারের শেষ ছবি ‘নীল মুকুট’ মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। ইডফার ওয়েবসাইটে ‘অন্যদিন...’ নিয়ে লেখা হয়েছে, ‘ফিলোসফিক্যাল ও ক্যালাইডোস্কোপিক’। চলচ্চিত্র ম্যাগাজিন ভ্যারাইটি এক সপ্তাহে পরপর দুবার ছবিটি নিয়ে ফিচার করেছে আর স্ক্রিন ডেইলি ‘অন্যদিন...’ সম্পর্কে লিখেছে, ‘মন্ত্রমুগ্ধকর, অসম্ভব নিমগ্ন...।’
আগামী ১৬-২০ মার্চ নিউইয়র্কের মমিতে বসবে ফার্স্ট লুকের এই আসর। উৎসবের উদ্বোধন হবে মার্টিন স্করসেসির নির্বাহী প্রযোজনায় নির্মিত এবং ২০২১ সালে কানে ক্যামেরা দর বিজয়ী ক্রোয়েশীয় ছবি ‘মুরিনা’ দিয়ে। আর উৎসবের শেষ হচ্ছে লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে গ্রাঁ প্রি বিজয়ী পোলিশ ছবি ‘ব্যালকনি’ দিয়ে।