সোমবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পিঠা উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়
সোমবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পিঠা উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়

পিঠা উৎসবে থাকবে নাচ-গানের বর্ণিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় পিঠা উৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় উৎসবের আয়োজক শিল্পকলা একাডেমি। এবার উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘মাছে ভাতে বাঙালি, ঐতিহ্যমণ্ডিত পিঠাপুলি/রন্ধন আর পিঠার বাহারে শিল্পী আছে ঘরে ঘরে’। দেশের নানা প্রান্তের পিঠাশিল্পীরা রকমারি পিঠা নিয়ে হাজির হবেন উৎসবে। সেখানে মেলে ধরা হবে নানা স্বাদ ও বৈচিত্র্যের অঞ্চলভিত্তিক বিশেষায়িত ও লুপ্তপ্রায় পিঠাশিল্পকে। সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ১১ দিনব্যাপী এ আয়োজন। আগামী বুধবার থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে দেশের ৬৪ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব।

সোমবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পিঠা উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে উৎসবসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক মিনি করিম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎসবে বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক পর্যায় থেকে পিঠাশিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন। যাঁরা পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে পরিবারের জন্য পিঠা তৈরি করেন এবং লুপ্তপ্রায় পিঠাকে বংশপরম্পরায় ধরে রেখেছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ২ জন করে শিল্পী পিঠা উৎসবে একটি স্টলে অংশগ্রহণ করবেন। মূল্যায়ন কমিটি পিঠার গুণমান, ভিন্নতা এবং স্বাদ যাচাই করে নম্বর প্রদান করবেন।

সেই নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় জন পুরস্কৃত হবেন। এবার পিঠা উৎসবে থাকছে ৫০টির বেশি স্টল। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে শুরু হয়ে উৎসব চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। বিকেল থেকে শুরু হবে লোকায়ত ধারার নাচ-গানের বর্ণিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
বুধবার বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন আতাউর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।