২০২২ সালে বাংলাদেশে নির্মিত প্রেক্ষাগৃহের চলচ্চিত্র, ডিজিটাল মাধ্যমের চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, সীমিত দৈর্ঘ্যের কাহিনিচিত্র, ডিজিটাল মাধ্যম, টিভি সিরিজ, ওয়েব সিরিজ, গায়িকা, গায়ক ও নবাগত অভিনয়শিল্পীদের দর্শকেরা বেছে নিয়েছেন সেরা কাজগুলো। মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপ পুরস্কারের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া এই তারকারা জানিয়েছেন নিজেদের প্রতিক্রিয়া।
প্রেক্ষাগৃহের চলচ্চিত্র, ডিজিটাল মাধ্যমের চলচ্চিত্র
সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
জয়া আহসান (বিউটি সার্কাস)
দর্শকদের ভোটে চূড়ান্ত মনোনয়ন অন্য রকম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ‘বিউটি সার্কাস’ দেখে তখনই দর্শকদের ভালোবাসা উপলব্ধি করেছি। ছবির বাইরে এ ধরনের ভালোবাসা অনেক বড় পাওয়া। এর আগেও এই পুরস্কার পেয়েছি। দর্শক ও প্রথম আলোর পাঠকেরা ভালোবেসে ভোট দেন, আমাদের কাজে উৎসাহ দেন—তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
বিদ্যা সিনহা মিম (পরাণ)
পরাণ মুক্তির পর সব শ্রেণির দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি। সবাই বলেছেন, এই ছবিতে আমাকে সবাই নতুনভাবে পেয়েছেন। সিনেমাটি ভালো লাগার আরেকটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন। দর্শকেরাই ছবিটি দেখেছেন এবং এখন তো ভোট দিয়ে সেরা চারে নিয়ে এসেছেন। তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
পূজা চেরি (গলুই)
মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপ পুরস্কার অনুষ্ঠান সবার জন্য একটি মিলনমেলা। সেখানে যদি নিজের সিনেমার জন্য মনোনয়ন পাই, আরও ভালো লাগার বিষয় এটি। আমি ‘পোড়ামন ২’-এর জন্য এই পুরস্কার পেয়েছিলাম। তারকা জরিপের মনোনয়ন পাওয়াটাও বড় ব্যাপার। প্রতিযোগিতায় অনেক তারকাদের ভিড়ে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত মনোনয়নের পর্বে আমার নামটি আছে, এটাই আমার জন্য অনেক বড়।
নাজিফা তুষি (হাওয়া)
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন। তা-ও দুটি বিভাগে। সমালোচকদের পাশাপাশি দর্শকদের ভোটেও মনোনয়ন পেয়ে প্রথমেই দর্শকদের ধন্যবাদ দিতে চাই। আমার সঙ্গে আরও যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁরা অনেক গুণী শিল্পী এবং অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। তাঁদের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েই পুরস্কার পাওয়ার মতো অনুভূতি কাজ করছে।
সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা
চঞ্চল চৌধুরী (হাওয়া)
‘হাওয়া’ আমাদের চলচ্চিত্রের পালে নতুন হাওয়া লাগিয়েছে। দেশ-বিদেশে দর্শকেরা ছবিটি গ্রহণ করেছেন। দর্শকদের জন্যই আমরা কাজ করি। তাঁরা যখন ভোট দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছেন, মনোনয়ন পেয়েছি, অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে।
শাকিব খান (গলুই)
আমি সব সময় বলি, সিনেমাপ্রেমী দর্শক-ভক্তরাই আমার এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। বিশেষ করে আমার প্রিয় শাকিবিয়ানরা। তাঁরাই তো আমার ভালোবাসা, শক্তি ও সাহস। অভিনয়জীবনের শুরু থেকেই তাঁরাই আমাকে স্বার্থহীন ভালোবাসা দিয়ে যাচ্ছেন, দিয়ে চলেছেন উৎসাহ আর প্রেরণা। সেই সব ভক্ত-দর্শক আর প্রথম আলোর পাঠকেরা আমাকে ভালোবাসা দেখিয়েছেন। এর আগেও ভালোবাসা দিয়েছেন। তাঁদের এই ভালোবাসা আমি খুব যত্ন করে তুলে রাখি। তাঁদের সবার জন্য আমার মন থেকে ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা।
শরীফুল রাজ (পরাণ)
যে সিনেমার জন্য আমি মনোনয়ন পেয়েছি, সেই পরাণ ছবিটি দর্শকেরা পছন্দ করেছেন। আমাকে ভালোবাসা দিয়েছেন। যেকোনো কাজের স্বীকৃতি বা অর্জন আমার মতো একজন অভিনেতার জন্য দারুণ অনুভূতির ব্যাপার। অনেক আনন্দ দেয়। অনুপ্রাণিত করে। আমি যাঁদের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছি, তাঁদের সঙ্গে আমার নাম দেখতে পাচ্ছি, এটাও অনেক বড় ব্যাপার।
সিয়াম আহমেদ (শান)
দর্শক ও পাঠকেরা কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে আমাকে এই জায়গায় নিয়ে আসছেন। যথেষ্ট ফাইট করে নিয়ে আসছেন। যাঁদের সঙ্গে মনোনয়ন আসে, যাঁদের সঙ্গে সুযোগ পাই, তাঁরা সবাই ভীষণ যোগ্য। যখন চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত মনোনয়ন আসে, তখন এটা বুঝতে পারি, দর্শকেরা কোনো না কোনো জায়গা থেকে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন। তাঁদের সাপোর্টকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না, কাজ দিয়ে প্রমাণ করতে চাই। পরিচালককে ধন্যবাদ, তিনি আমাকে শান ছবিটি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।