কয়েক দিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। হঠাৎ গতকাল রোববার দুপুরের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেত্রীকে। চিকিৎসা নেওয়ার এক দিন পর এখন একটু সুস্থ বোধ করছেন তিশা। আজ বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তিনি।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে তিশা জানান, কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। গতকাল শরীরটা একটু বেশি খারাপ হয়। জ্বর ওঠে ১০৩ ডিগ্রি। তিশা বলেন, ‘জ্বরটা বেশি হওয়ার কারণে বাসায় চিকিৎসক ডেকে স্যালাইন নিয়েছিলাম। কিন্তু এর পরপরই শরীর আরও খারাপ হয়। মনে হচ্ছিল, পুরো শরীর পুড়ে যাচ্ছে, প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছিলাম। অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হই।’
হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসা শুরু হলেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি; বরং আরও খারাপ হতে থাকে। তিশা বলেন, ‘চিকিৎসক দেখার পর একটি ওষুধ দেন। যদিও ওষুধ দেওয়ার আগে চিকিৎসক বলেছিলেন, এটি নেওয়ার পর একটু কষ্ট হবে। ওষুধ নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মনে হলো পুরো শরীরে যেন আগুন ধরে গেছে। এমন যন্ত্রণা শুরু হলো, এত কষ্ট হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল, আমি মারা যাব। যেন মৃত্যুযন্ত্রণা কাছ থেকে দেখেছি, অনুভব করেছি। ওই সময় আমার মাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। প্রায় তিন ঘণ্টা পর কিছুটা স্বস্তি আসে। একটু সুস্থ বোধ করি।’
কেন এমন হলো, চিকিৎসক কী বলছেন, জানতে চাইলে তিশা বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গুসহ আরও কিছু পরীক্ষা করিয়েছি। এসব হয়নি। আমি কিছুদিন ধরে ডায়েট করছিলাম। তা ছাড়া কিছুদিন ধরে দুশ্চিন্তাও করছিলাম। চিকিৎসকের ধারণা, এসব মিলিয়েই এমনটি হয়েছে।’
তিশা আরও বলেন, ‘চিকিৎসক ডায়েট বন্ধ করতে বলেছেন, দুশ্চিন্তা না করতে বলেছেন। প্রচুর খেতে বলেছেন। এখন বাসায় বিশ্রামে আছি। চিকিৎসকের পরামর্শেই চলছি। শারীরিক দুর্বলতার কারণে যদিও ওইভাবে এখনো খাওয়াদাওয়া করতে পারছি না। কাল আবার হাসপাতালে যাব, ডাক্তার দেখাব।’
এদিকে বেশ কিছুদিন হলো শুটিংয়ে অংশ নেননি তানজিন তিশা। নতুন কোনো শুটিংয়ের শিডিউলও দেননি। এ প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘শরীরটা আগে থেকেই একটু খারাপ ছিল। এ কারণে বেশ কিছুদিন কোনো শুটিং করিনি। এই অবস্থায় আরও সময় নিতে হবে।
শিডিউলের জন্য অনেকে যোগযোগ করেছেন। অসুস্থতার জন্য অনেকের ফোন ধরতে পারিনি। শরীর পুরোপুরি ঠিক হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এরপর শিডিউল দিতে পারব।’