অভিনেতা আহমেদ রুবেলের জন্ম চাঁপাইনবাবগঞ্জে। শৈশব গ্রামের বাড়িতে কাটলেও একসময় নিয়মিত ঢাকায় থাকতে শুরু করেন। ২০০৯ সাল পর্যন্ত টানা ঢাকাতেই ছিলেন। সংসারও পেতেছিলেন ঢাকায়। তবে একসময় সব ছেড়ে চলে যান গাজীপুরে। ঢাকা শহর ছেড়ে গাজীপুরে স্থায়ী হন। কিন্তু কেন এই অভিনেতা ঢাকা ছেড়েছিলেন, এই প্রশ্ন অনেকেরই অজানা।
১৯৮৭ সাল। উচ্চমাধ্যমিকের পাট চুকিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তার পর থেকেই ঢাকায় নিয়মিত থাকা শুরু করেন। পরে তিনি ২০০৯ সালে ঢাকা শহর ছেড়ে দেন। ঢাকা ছাড়ার কারণ হিসেবে এনটিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘কারণটা খুবই ব্যক্তিগত। পারিবারিক ভাবে আমার মা-বাবা থাকতেন গাজীপুর। আমরা দুই ভাই ছিলাম। আমার বড় ভাই আমার তিন বছরের বড়। তিনি হঠাৎ করে হৃদ্রোগে মারা যান।’ তখন বাড়িতে এই অভিনেতার মা-বাবা একা থাকতেন। তাঁদের সময় দিতেই তিনি গ্রামে চলে যান।
সাক্ষাতকারে রুবেলের ভাষ্য ছিল এমন, ‘একটা সময় আমি পারসোনাল লাইফ থেকে সিঙ্গেল হয়ে গেলাম। তখন ভাবলাম, ঢাকা শহরে থাকার চেয়ে মা-বাবার কাছে গিয়ে থাকাটা ভালো। সেখানে থেকেই আমি আমার সব কাজ করা শুরু করি। আমি যেহেতু কম কাজ করতাম, সেখান থেকে আমার জন্য কাজ করা খুব বেশি অসুবিধা হতো না। এটা আমার জন্য সুবিধা ছিল।’
গতকাল বুধবার বিকেলে নিজে গাড়ি চালিয়ে বিকেল সোয়া পাঁচটায় বসুন্ধরা সিটিতে পৌঁছান আহমেদ রুবেল। বেজমেন্টে গাড়ি থেকে নেমে হঠাৎ পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৫টা ৫৮ মিনিটে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রুবেলের মরদেহ চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ গাজীপুর শহরে উত্তর ছায়াবীথিতে নেওয়া হয়। আসরের পর রাজবাড়ি মাঠে তাঁর জানাজার নামাজ শেষে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে৷