বৃহস্পতিবার রাতেই গায়েহলুদের পরপর কাবিন হয়ে গেছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের ‘হাবু’খ্যাত অভিনেতা চাষী আলমের। আজ শুক্রবার রাতে গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে রয়েছে বাকি অনুষ্ঠান। আজ রাতেই নববধূ তুলতুল ইসলামকে ঘরে তুলবেন চাষী আলম।
আজ দুপুরে প্রথম আলোকে চাষী বলেন, ‘গতকাল গায়েহলুদের পরপরই কাবিন হয়ে গেছে। আজ রাতে স্ত্রী আসবে আমাদের বাসায়। গায়েহলুদ ও বিয়ের অনুষ্ঠানে বিনোদন অঙ্গনের অনেক বন্ধু ছিল। কিন্তু আজকের অনুষ্ঠানে সেভাবে মিডিয়ার মানুষজনকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। পরিবার ও আত্মীয়স্বজন মিলে ছোট পরিসরে করছি।’
পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও মেয়ের সঙ্গে চাষীর পরিচয় প্রায় ছয় মাস আগে, উত্তরায়। হঠাৎ করেই এই পরিচয়। মেয়েটি তাঁর অভিনয়ের ভক্ত ছিলেন। পরিচয়ের কিছুদিন পর থেকে দুজনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। মাঝেমধ্যে দেখাসাক্ষাৎও চলে। একটা পর্যায়ে চাষীর পরিবারের অন্যান্য সদস্য মেয়েটিকে দেখেন। তাঁদের পছন্দ হয়।
চাষী বলেন, ‘তুলতুলের এক ভাগনে আমার কাজের ভক্ত। একদিন উত্তরার এক দোকানে কয়েকজন বন্ধু মিলে চটপটি খাচ্ছিলাম। ভাগনের সঙ্গে সেখানে তুলতুলও চটপটি খেতে এসেছিল। আমাকে দেখে তুলতুল ও তার ভাগনে ছবি তুলল। আমার অভিনয়ের প্রশংসা করল। ওই দিনই প্রথম পরিচয়। আমার ফোন নম্বর নিয়েছিল। এর কিছুদিন পর ফোনে আমাদের দুজনের কথা আদান–প্রদান শুরু হয়। একটা পর্যায়ে পরস্পরের প্রতি ভালো লাগা কাজ করে। বেশি দিন তো প্রেমের স্বাদ নিতে পারলাম না। চাচি ও মায়ের চাপাচাপিতে তাড়াতাড়িই বিয়ে হয়ে গেল। তুলতুলের সঙ্গে আমার আংশিক বা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রেমের বিয়ে বলতে পারেন। হা হা হা।’
আপনি তো দর্শকের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। নারী ভক্তও প্রচুর। স্ত্রী বিরক্ত হবেন না তো—এ কথা শুনে হেসে ফেলেন চাষী। তিনি বলেন, ‘না, বিরক্ত হবে না। আমার বউ তেমন নয়। ও এসব নিয়ে মাথায় ঘামায় না; বরং আমাকে নিয়ে দর্শকের এই ভালোবাসা সে উপভোগ করে।’
গতকাল সন্ধ্যার আগেই তাঁদের বিয়ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ফেসবুকেও বিয়ের খবর, বিয়ের ছবি ছড়ায়। এই তুলতুল ইসলাম কে—তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ফেসবুকে মন্তব্যের ঘরে অনেকেরই আগ্রহ দেখা যায়।
তুলতুল ইসলামের ডাক নাম মোহনা। পরিবারের সঙ্গে থাকেন রাজধানীর বাড্ডায়। দুই বোন এক ভাইয়ের সবার ছোট সে। মা গৃহিণী, বাবা ব্যবসায়ী। মাঝে দুই বছর পড়াশোনা বন্ধ ছিল। এরপর গত বছর বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন মোহনা। আপাতত পড়াশোনা বন্ধ আছে তাঁর।
বিয়ের পর মোহনা পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন কি না, বা চাকরি করবেন কি না জানতে চাইলে চাষি বলেন, ‘যেহেতু বিবিএ শেষ করেছে, এমবিএ শেষ করতে চাইলে করবে। আমার দিক থেকে কোনো বাধা নেই।’