হোমায়রা হিমু। ফেসবুক থেকে
হোমায়রা হিমু। ফেসবুক থেকে

মায়ের কবরের পাশে সমাহিত অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু

অভিনয়শিল্পী হোমায়রা হিমুকে লক্ষ্মীপুরে তাঁর মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লামচরী জামে মসজিদের পাশে কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।

এর আগে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা হয়। এতে আত্মীয়স্বজন ছাড়াও স্থানীয় লোকজন ও মসজিদের মুসল্লিরা অংশ নেন। ঢাকা থেকে সন্ধ্যা সাতটার দিকে হিমুর লাশবাহী গাড়ি লক্ষ্মীপুর এসে পৌঁছায়।

হোমায়রা হিমুর মামা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক মঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হিমু মা–বাবার একমাত্র সন্তান। তাঁর মা–বাবা কেউই বেঁচে নেই। হিমুর মরদেহ তাঁর মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে।

হোমায়রা হিমু

তাঁর বাবা প্রকৌশলী সানা উল্লাহ গত আগস্ট মাসে মারা যান। তাঁর মা শামীম আরা চৌধুরী ২০২০ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

হোমায়রার আত্মহত্যার প্ররোচনায় জিয়াউদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকার বংশাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। জিয়াউদ্দিন রাসায়নিক সামগ্রীর (কেমিক্যাল) ব্যবসা করেন। তিনি হিমুর বন্ধু ছিলেন।
হোমায়রা হিমু ক্যারিয়ার শুরু করেন বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজের মাধ্যমে। টিভি নাটকে অভিনয় শুরুর পর নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় তাঁর অভিনয় দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুজ্জামান চৌধুরী জানান, লক্ষ্মীপুরের লামচরীতে তাঁর নানার বাড়ি। দীর্ঘদিন এখানে থাকার পর তাঁরা ঢাকায় চলে যান। এখানে তাঁদের বাসাবাড়ি কিছুই নেই। লক্ষ্মীপুর এলে নানার বাড়িতেই থাকতেন হিমু।

হোমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। লক্ষ্মীপুরে ছোটবেলা কেটেছে হোমায়রা হিমুর। ক্লাস টুতে পড়ার সময় থেকেই কাজ করতেন মঞ্চে। বেসরকারি টিভি চ্যানেল দেশ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিমু নিজেই বলেছিলেন, ছোটবেলা থেকেই স্থানীয় হাইফাই কৌতুক শিল্পগোষ্ঠী ও ফ্রেন্ডস নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করতেন তিনি।

১৯৯৯ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর ঢাকায় আসেন হিমু। প্রথমে ভর্তি হন নাগরিক নাট্যাঙ্গনে। এরপর কাজ করেন আরও কয়েকটি নাটকের দলে।

এরপর এক বড় ভাইয়ের পরামর্শে ফটোশুট করে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থায় মডেলিংয়ের জন্য জমা দেন। তখন এইডস নিয়ে সচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। পরে দেখা যায় আরও কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। একটি চায়ের বিজ্ঞাপনচিত্রে তাঁকে দেখার পর প্রথম হিমুকে নাটকে সুযোগ দেন নির্মাতা তাহের শিপন। নাটকের নাম ছিল ‘পি আই’। তাঁর প্রথম সহশিল্পী ছিলেন প্রয়াত দিলীপ চক্রবর্তী।