ঢাকায় প্রায় ৬ শতাংশ জমি পেয়েছেন অভিনয়শিল্পীরা

অভিনয়শিল্পী সংঘের আয়োজনে আবুল হায়াত ও অন্যরা। ছবি: ফেসবুক
অভিনয়শিল্পী সংঘের আয়োজনে আবুল হায়াত ও অন্যরা। ছবি: ফেসবুক

ছোট পর্দার শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ ঢাকার আফতাবনগরে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ জমি বরাদ্দ পেল। সরকারের কাছ থেকে এই বরাদ্দ পেয়েছে সংগঠনটি। জমি বরাদ্দের তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম। টেলিভিশন নাটকের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে এমন খবরে যেন স্বস্তি মিলেছে। কারণ, দীর্ঘদিন পর তাঁরা নিজেদের মতো করে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারবেন।

আহসান হাবীব নাসিম জানান, অনেক দিন ধরেই তাঁরা শিল্পীদের জন্য বড় পরিকল্পনা করছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল নিজস্ব পরিসরে শিল্পীদের স্বাধীনভাবে নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো। অভিনয়শিল্পী সংঘের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সংগঠন নিয়ে অনেকেই মনে করেন, এটা শিল্পীদের বিচার-সালিস বা কেউ বিপদে পড়লে পাশে দাঁড়ানোর সংগঠন। সেগুলোও আমাদের করতে হয়। কিন্তু শুধু এসব নিয়েই আমরা থাকতে চাইনি। সেখান থেকে আমরা বের হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এ জন্য আমাদের নিজস্ব একটা জায়গা দরকার ছিল। সরকারের কাছ থেকে সেটাই এখন আমরা বরাদ্দ পেয়েছি।’

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম

প্রাথমিকভাবে অভিনয়শিল্পী সংঘ আফতাবনগরের জায়গাটি বুঝে পেয়েছে। জানা গেছে, এখন চলছে পানি, বিদ্যুৎ, ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সব অনুমোদনের কাজ। সবকিছু ঠিক হলেই তাঁরা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করবেন। শিল্পীদের জন্য এই জায়গা কতটা প্রয়োজন ছিল, জানতে চাইলে নাসিম বলেন, ‘চাঁদা দিয়ে পরিচালিত একটি সংগঠন খুব বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারে না। যে কারণে আমরা, আমাদের সিনিয়র মামুন ভাই, আফজাল ভাই, জাহিদ ভাই—কতজনের নাম বলব, সবার সহযোগিতা ও চেষ্টায় সংগঠনটি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে যাচ্ছি।’

আয়োজনের একটি অংশে বক্তব্য দিচ্ছেন আফসানা মিমি।

অভিনয়শিল্পী সংঘ জানিয়েছে, নিজস্ব এই ভবনে থাকবে সেমিনার, লাইব্রেরি, ওল্ড হোম, প্রজেকশন হলরুমসহ অভিনয়শিল্পীদের প্রয়োজনীয় উপকরণ। ‘আমাদের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই বয়স্ক। এমন ১০–১৫ জন সব সময়ই থাকেন। দেখা যায়, শেষ বয়সে তাঁরা একা থাকেন। কারও অর্থনৈতিক কষ্ট না থাকলেও একাকিত্বে ভোগেন। তাঁদের থাকার জন্য আমরা এখানে আলাদা ব্যবস্থা করব। যেন শেষ সময়টা সবাই ভালোভাবে কাটাতে পারেন। অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে বন্ধনটা যেন সব সময় থাকে। সেই বন্ডিংটা তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে।’ বলেছিলেন আহসান হাবীব নাসিম।
নাসিম আরও বলেন, ‘এই ভবনে শিল্পীরা সব সময় নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারবেন। বই পড়ার ব্যবস্থা থাকবে। কফি খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অভিনয়শিল্পীদের কাছ থেকে সরকারের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের চেষ্টা করব। নিয়মিত সেমিনার আয়োজন, কর্মশালার ব্যবস্থা করা হবে। তরুণ অভিনয়শিল্পীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে যাব। তবে এটাকে আমরা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করব না।’