হার্ট অ্যাটাকের পর বেশ কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদের স্ত্রী গওহর আরা মামুন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন নাট্য পরিচালক এজাজ মুন্না।
দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন গওহর আরা মামুন। ১০ দিন ধরে ঢাকার দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় সর্বশেষ ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তাঁর মৃত্যুতে মামুনুর রশীদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মায়ের মৃত্যুর খবরে মামুনুর রশীদের ছেলে পল্লব তাঁর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে গতকাল রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে এসেছেন।
মামনুর রশীদের স্ত্রীর মৃত্যুর পর অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের নাট্যগুরু মামুনুর রশীদের সহধর্মিণী গওহর আরা মামুন (টুলী ভাবি) পরলোক গমন করেছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। বৃহত্তর আরণ্যক পরিবারের সকল সদস্যের কাছে টুলী ভাবি ছিলেন মাতৃসম। শাসনে আর আদরে আরণ্যক পরিবারকে অতি আপন করে নিয়েছিলেন তিনি। ভাবি যেন পরপারে অপার শান্তি লাভ করেন। মাতৃসম টুলী ভাবির স্নেহের স্পর্শ যেন আরণ্যক পরিবারের সকলের জন্য চির আশীর্বাদ হয়ে থাকে।’
অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি ফেসবুকে লেখেন, ‘আমাদের সকল নাট্যকর্মীর ভাবি, মামুনুর রশীদ ভাইয়ের স্ত্রী গওহর আরা মামুন (টুলী ভাবি) চলে গেলেন। কত স্মৃতি, কত কথা মনে হচ্ছে! মানুষের জীবন কত ছোট, কত সংক্ষিপ্ত এ সফর, তা কেউই আমরা একটিবারও ভাবি না। তিনি ছিলেন ঠিক মামুন ভাইয়ের বিপরীত। মাতৃত্বের এক বাঁধানো ফ্রেম যেন। আরণ্যক থিয়েটারের ছোট-বড় সব সদস্য তাঁর সেই মাতৃত্বের শাসন ও সোহাগ পেয়েছে। থিয়েটারের সদস্যদের নানা সমস্যার সমাধান হয়েছে একসময় ইন্দিরা রোডে ভাবির বাড়িতে। সব ভেঙে নতুন করে হয়তো গড়া যায়, শুধু স্মৃতির পুনর্গঠন সম্ভব নয়। আপনি আরণ্যক তথা সকল থিয়েটারের সন্তানদের মনের কোণে বেঁচে থাকবেন।’