আফজাল হোসেনকে বাবার মতো মনে করেন সজল, কেন?

সজল ও আফজাল হোসেন ছবি: সজলের সৌজন্যে
সজল ও আফজাল হোসেন ছবি: সজলের সৌজন্যে

গুণী অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেনের সঙ্গে সজলের পরিচয়টা দীর্ঘদিনের। সেই পরিচয় আরও গাঢ় হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে। সেই সম্পর্ক এখন বাবা-ছেলের মতো। সম্প্রতি আফজাল হোসেনের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে সজল লিখেছেন, ‘তাঁকে আমি বাবার মতোই মনে করি।’ কেন আফজাল হোসেনকে বাবার মতোই মনে করেন সজল?  

ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি নিয়ে কথা বলার শুরুতেই সজল বলেন, ‘আফজাল আঙ্কেলকে নিয়ে কথা বলতে গেলে শেষ হবে না। তাঁকে নিয়ে আমার অনেক অনুভূতি যেমন জড়িত, তেমনি অনেক ইমোশনাল ঘটনাও জড়িত। আর এত কিছু হয়েছে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে। অনেকের সঙ্গে কাজ করি কিন্তু আফজাল আঙ্কেল একজনই। যাঁর স্পর্শে এলে কেউ বদলে যেতে বাধ্য। আমিও অনেক কিছু শিখেছি, নিজেকে বলেছি।’

সজল ও আফজাল হোসেন ছবি: সজলের সৌজন্যে

সজল মনে করেন, তাঁর আজকের সজল হওয়ার পেছনে আফজাল হোসেনের অনেক অবদান রয়েছে। কারণ, সঠিক পথ চলার জন্য রাস্তাটা ভালো করে চেনা জরুরি। সেই পথ চেনার অণুপ্রেরণাটা তিনি পেয়েছেন আফজাল হোসেনের কাছে। সজল বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ার, আমার অর্জনের পেছনে আঙ্কেলের অনেক অবদান।’

শুধু ক্যারিয়ার নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও সজল অনেক কিছু শিখেছেন একুশে পদক পাওয়া গুণী এই অভিনেতার কাছ থেকে। সজল বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার চিন্তাচেতনা, বোধের জায়গায় অনেকটা অংশজুড়েই রয়েছেন আঙ্কেল (আফজাল হোসেন)। তিনি আমার অন্যতম অভিভাবক। তাঁর গাইডলাইন না পেলে জীবনে হয়তো অনেক কিছুই করতে পারতাম না। আমি তাঁর কাছ থেকে নিয়মিত শিখি।’

আফজাল হোসেন

তাঁদের সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের। একজন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন তাঁর পথচলার অণুপ্রেরণা। একসঙ্গে প্রথম কবে দেখা, কথা হওয়া; সেটা কত বছর আগে সঠিকভাবে মনে নেই সজলের। তবে সেই সময়ের স্মৃতি স্মরণ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘শৈশব থেকেই পরিচয়। আমি একবার আফজাল আঙ্কেলের অফিসে বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার জন্য স্ক্রিন টেস্ট দিয়েছিলাম। টিকেও যাই। পরে আঙ্কেল জানতে পারেন আমার পরীক্ষা আছে। সঙ্গে সঙ্গে না করে দেন। মন খারাপ হয়েছিল। পরেরবার একসঙ্গে কাজ হয়েছিল। বেশ কিছু নাটকেও অভিনয় করেছি। শুটিংয়ের ফাঁকে অনেক কিছু শিখতাম। সেগুলো এখনো নিয়মিত মনে পড়ে।’

অভিনেতা সজল

আফজাল হোসেনের ছেলের জন্মদিন ২০ ফেব্রুয়ারি। একই দিন সজলেরও জন্মদিন। সেই দিন সজল বিশেষ এক অপেক্ষায় থাকেন। এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি অপেক্ষা করি কখন আঙ্কেল–আন্টি ফোন করে বলবেন, ‘একসঙ্গে কেক কাটা হবে, বাসায় আসো।’ বাইরে থাকলে গিফট দিয়ে যাবেন। এই ভালোবাসার মূল্য আমার কাছে অনেক। তা ছাড়া ঈদ এলে একই রঙের পাঞ্জাবি পাঠাবেন। এই ভালোবাসা আমার কাছে সেরা প্রাপ্তির নাম। যে আমাকে এতটা ভালোবাসেন, তিনি তো অবশ্যই বাবার মতোই। আঙ্কেল–আন্টির কাছে আমি সব সময় কৃতজ্ঞ।’