উপস্থাপক রাফসান সাবাব সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে তিন বছরের সংসার ভাঙার খবর নিজেই জানিয়েছেন। ভাঙনের খবর দেওয়ার পরই মুখ খোলেন স্ত্রী সানিয়া সুলতানা এশা। জানান, তিনি বিচ্ছেদ চাননি। এই যখন চলছিল, ঠিক তখনই গায়িকা জেফারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কথা শুরু হয়। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, গায়িকা জেফারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই বিচ্ছেদের পথে বেছে নিয়েছেন রাফসান। বিষয়টি নিয়ে প্রায় ১৫ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
তরুণ এই সঞ্চালকের মতে, হুট করে নয়; বরং বছর দেড়েক আগে থেকেই তিনি বিচ্ছেদ চাইছিলেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে। এমনকি বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন আগেও এশার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান রাফসান। তাঁর ভাষ্য, ‘বিচ্ছেদের বিষয় এলেই মেয়েরা সংসার টিকিয়ে রাখতে চায় আর ছেলেরা হয়ে যায় খারাপ। আমার সাবেক স্ত্রী এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছে, আমি হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু না, এই সিদ্ধান্ত দেড় বছর আগের।’
জেফারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে যে কথা প্রকাশ্যে, সে বিষয়ে রাফসানের ভাষ্য, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিষয়ে প্রচুর কমেন্ট দেখতে পাচ্ছি, জেফারকে জড়িয়ে; আপনারাই বলছেন, এ রকম চেহারা নিয়েও চিট করা যায়! আবার আপনারাই বলছেন, জেফারের কারণে আমার ঘর ভেঙে গেছে। যেহেতু আমার চেহারা একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, মনে হচ্ছে, এই চেহারা নিয়ে জেফার কেন, হলিউডের কোনো নায়িকাকেও চেজ করে ফেলতে পারব।’
রাফসানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কথা হয় জেফারের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বললেন, ‘যে কথা যেগুলো আসছে, মানুষের দেখা উচিত এসবের সোর্স কী। পাবলিক কমেন্ট থেকে সবাই এমন ধারণা পোষণ করছেন। পাবলিক তো যে কারও ছবিতে যা-তা লিখতে পারে, সেটার ওপর ভিত্তি করে এমন কথা বলা তো উচিত নয়। শুরুতে আমি কিন্তু এটা পাত্তাই দিইনি। পরে দেখলাম, এটা নিয়ে অনেক বেশি টানাহেঁচড়া হচ্ছে। একজন পাবলিক ফিগারের যখন ডিভোর্স হয়, তখন এটা নিয়ে যা হয়, তা–ও ঠিক নয়। পরে দেখলাম, আমার নাম এখানে ঢুকে গেছে! আমাদের কত কলিগ। কত কাজ করি একসঙ্গে। রাফসানকে তো আজ থেকে চিনি না। ক্যারিয়ারের সেই একদম শুরু থেকেই চিনি। “ন ডরাই” নিয়েও আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। রিসেন্টলি আমরা “হোয়াট আ শো”তেও গেলাম। অবশ্যই তাকে আমি ভালো করেই চিনি। বাইরে ফ্রেন্ডদের আড্ডায় দেখা হয়। সিসিএলে আমরা একসঙ্গে খেললাম। এর বাইরে মানুষ আমাদের এখানে–সেখানে দেখতেও পারেন। তাই বলে প্রেমের সম্পর্ক বলে বেড়াবে!’
কথাটা যেহেতু উঠেছে, তাহলে প্রশ্ন থাকল, আপনাদের দুজনের সম্পর্কটা আসলে কী? ‘সবাই প্রেম বলছে বিভিন্ন মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে, তাহলে এখানে আমার তো কিছুই বলার নেই আসলে। তবে এটা অনেক হাস্যকরও মনে হয়। ওর ডিভোর্সের ব্যাপারটা তো ওর ব্যক্তিগত বিষয়,’ বললেন জেফার।
কথা হচ্ছে, রাফসানের সঙ্গে বিনোদন অঙ্গনের অনেকেরই বন্ধুত্ব আছে, আপনার সঙ্গেও তা–ই। প্রশ্নটা হচ্ছে, কারও সঙ্গেই তো প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কথা হচ্ছে না, শুধু আপনাদের দুজনকে নিয়ে কেন হচ্ছে—এমন প্রশ্নে, ‘সেটা হতে পারে আমাদের রিসেন্ট কাজ দেখে। আমরা একসঙ্গে সিসিএল খেললাম। “হোয়াট আ শো”তে গিয়েছি। এর বাইরে শো করেছি। সেসব ছবি নিয়ে দেখলাম সবাই ফাজলামি করছে! এভাবে এসব বিষয় ঘিরে ইস্যু বানানোর তো কোনো মানে হয় না। মানুষ অন্য তারকাদের সঙ্গে রাফসানকে জড়িয়ে কেন কথা বলছে না, আমাকে নিয়ে বলছে—এটা মানুষই ভালো বলতে পারবে। আমি এটা বলতে পারব না। রাফসান শুধুই আমার বন্ধু ও সহকর্মী। প্রেমের সম্পর্কের যে কথা উঠছে, এটা তখনো ছিল না, এখনো নেই,’ বললেন জেফার।
কথায়–কথায় জেফার বললেন, রাফসানের সঙ্গে যে তিনি প্রেম করছেন, এসবের কোনো প্রমাণ আছে? কেউ কেউ বলছেন, দুজনকে একসঙ্গে কক্সবাজারের মারমেইডে ঘুরতে দেখেছেন। এসব প্রসঙ্গ উঠতেই জেফার বললেন, ‘আমাকে নিয়ে এমন কথা তো যে কেউ বলতে পারে। এসব ভিত্তিহীন। মানুষ যখন একটা রসাল খবর বানাতে পারে, কেউ সেটার সুযোগ মিস করে না। আমার সঙ্গে রাফসানের সম্পর্ক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাকে যে এখানে টানা হয়েছে, বলব যে এটা অনেক খারাপ একটা কাজ হয়েছে।’