শনিবার রাত নয়টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হবে ‘দম ফুরালেই ঠুস’
শনিবার রাত নয়টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হবে ‘দম ফুরালেই ঠুস’

হঠাৎ দুই শ বছর আগে মৃত মানুষের আগমন!

হঠাৎ মৃত মানুষ বাড়িতে হাজির। তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন টানাপোড়েন, নতুন হিসেব–নিকেশ। এক অদ্ভুত গল্পের নাটক প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন।
নজর মিয়া প্রায় দুই শ বছর আগে মারা গেছে। তার রেখে যাওয়া সম্পদ ভোগ করছে তারই ছোট ছেলের নাতি শামীম। শামীম লোক ঠকিয়ে জোরজবরদস্তি করে অন্যের সম্পদ নিজের করে নিয়েছে। একদিন আচমকা তার বাড়িতে হাজির হয় নজর মিয়া। মৃত পূর্বপুরুষকে দুই শ বছর পর জীবিত দেখে অবাক হয়ে যায় তার পরিবারের সবাই।  ‘দম ফুরালেই ঠুস’ গল্পটি এখানে নতুন মোড় নেবে।  
শনিবার রাত নয়টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হবে ‘দম ফুরালেই ঠুস’। লিটু সাখাওয়াতের রচনায় এটি প্রযোজনা করেছেন শাহজামান মিয়া। অভিনয় করেছেন মনির আহমেদ, রিমি করিম, মাইশা, আশরাফুল আশিক ও আদিত্য আলম।

‘দম ফুরালেই ঠুস’ নাটকের দৃশ্য

গল্পের একপর্যায়ে দেখা যাবে, শামীমের মতো হুবহু দেখতে নজর মিয়া জমির দলিল আর কাগজপত্র নিয়ে সম্পদের দাবি করতে থাকে। এদিকে শামীম কিছুতেই তা বিশ্বাস করতে পারে না। কিন্তু চেহারার সঙ্গে হুবহু মিল থাকায় সে চিন্তায় পড়ে যায়। সে নজর মিয়াকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। শামীম রাতে ঘুমের মধ্যে ভৌতিক আওয়াজ শুনতে পায়।

‘দম ফুরালেই ঠুস’ নাটকের দৃশ্য

পরক্ষণেই উঠানে এসে সে নজর মিয়াকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। এতে সে ভয় পেয়ে যায়। হঠাৎ শামীম বুঝতে পারে এতক্ষণ ঘুমের মধ্যে সে স্বপ্নে বিভোর ছিল। আসলে নজর মিয়া বলে বাস্তবে কেউ নেই। সে সিদ্ধান্ত নেয়, পরদিনই জোর করে দখলে ও ঠকিয়ে নেওয়া সব সম্পদ ফেরত দেবে। অবশেষে শামীমের মধ্যে শুভ বোধের উদয় হয় এবং সে অনুধাবন করে, মানুষ মারা গেলে কবরে কিছুই নিয়ে যেতে পারে না।