বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্বাগতা ও হাসান আজাদ।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্বাগতা ও হাসান আজাদ।

চার মাস আগে ঢাকা ক্লাবে পরিচয়, অতঃপর বিয়ে

গত বছর বিয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন হবু বরের নাম, পরিচয়। নতুন বছরের প্রথম মাসের শেষ দিকে এসে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী গায়ক হাসান আজাদকে বিয়ে করলেন। বুধবার সকালে পরিবারের কাছের কয়েকজনকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীর গাউসুল আজম মসজিদে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এদিন রাতেই দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে ঢাকার পূর্বাচল এলাকার একটি ক্যাফেতে বিয়ে–পরবর্তী অনুষ্ঠান হয়।
কাল শনিবার ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে স্বাগতা ও হাসানের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিয়ে প্রসঙ্গে স্বাগতা জানালেন, একদিন ঢাকার একটি ক্লাবে পরিচয় হয় লন্ডনপ্রবাসী হাসান আজাদের সঙ্গে। তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা যুক্তরাজ্যে। গানও করেন। কিছুদিন পথচলার পর হাসানকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার একপর্যায়ে কাবিননামায় সই করছেন স্বাগতা।

হাসানের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে স্বাগতা বলেন, ‘গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে ঢাকার একটি ক্লাবে যাই। ওখানেই প্রথম দেখা। এরপর অনেক দিন দেখা ছিল না। নভেম্বরে আবার দেখা হলে বুঝতে পারি, সে আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী।’ কবে বুঝলেন তাঁকে পছন্দ করেছেন? ‘আমি সেভাবে বুঝি নাই। ও-ই আমাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করল। এরপর আমি নিজেও যখন ভাবছিলাম বিয়ে করব। পাত্র খুঁজছিলাম। পরে জানতে পারি, সে–ও পাত্রী খুঁজছে। কথা বলতে বলতে জীবনের অনেক কিছু জানতে পারলাম। এরপর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া।’

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বাগতা

স্বাগতার বর হাসান আজাদ ব্যবসায়ী, গানও করেন। দুজনে একসঙ্গে একাধিক গান প্রকাশ করেছেন। স্বাগতা বললেন, ‘আমাদের দুজনের শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির অনেক মিল। সে একজন শিল্পী, এটা যেমন ভালো লেগেছে, তেমনি হি ইজ অ্যান একাডেমিক, এটাও ভালো লেগেছে। একটা সময় বুঝতে পারি, আমি কাজ করতে অনেক ভালোবাসি, এটাতে তার সমর্থন আছে, এটা ছিল অনেক ভালো লাগার।’