প্রথম আলোর ক্যামেরায় ঢাকার গ্রিন রোডের বাসায় মাসুদ আলী খান
প্রথম আলোর ক্যামেরায় ঢাকার গ্রিন রোডের বাসায় মাসুদ আলী খান

অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন

বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। আজ বিকেলে ঢাকায় নিজ বাসাতেই মৃত্যু হয় এই গুণী অভিনেতার (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। মাসুদ আলী খানের মৃত্যুর খরর নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাগনের স্ত্রী শারমিনা আহমেদ।
বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এই বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পী। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খানকে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩ আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) উপস্থাপক হানিফ সংকেত, শিল্পী রফিকুন নবী, মাসুদ আলী খান ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। ২৪ মে ২০২৪

মঞ্চে অভিনয় দিয়ে শুরু। ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হওয়ার পর ছোট পর্দায় অভিষেক। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে হয়ে উঠেছেন বাংলা নাটকের চেনা মুখ।
মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী।

মা সিতারা খাতুন। মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তাঁর পথচলা শুরু।

অভিনেতা মাসুদ আলী খান। ছবি: সংগৃহীত

মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একের পর এক বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুদ আলী খান।