ছোট পর্দার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজ। অভিনয় করেছেন অসংখ্য দর্শকপ্রিয় নাটকে। পর্দায় তাঁর উপস্থিতিতে যেন বাস্তব হয়ে ওঠে নাটক। প্রয়াত কিংবদন্তি লেখক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বেশির ভাগ নাটকে ডা. এজাজের সাবলীল অভিনয় ভক্তদের কাছে এখনো বহুমূল্য উপহার। সম্প্রতি অভিনয় নিয়ে নিজস্ব ভাবনার কথা বলেছেন গণমাধ্যমে।
বর্তমানে ঈদের নাটক আর বিজ্ঞাপনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত অভিনেতা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মনে করি, আমাদের জীবনের সেরা সময় পার করে এসেছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আমার মতবিরোধ রয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের বর্তমানই জীবনের সেরা সময়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই বদলে যায়, যা মেনে নিয়েই আমরা বর্তমানের সঙ্গে নিজেদের ভালো লাগা-খারাপ লাগা মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাই।’
ইউটিউবে নাটকের ভিউ প্রসঙ্গে ডা. এজাজ বলেন, ‘বর্তমানে নাটকের ভিউ উপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই। আমি মনে করি যে নাটকের যত ভিউ, তত জনপ্রিয়। এটি আমার কাছেও ভালো লাগে। কারণ, দর্শক যত বেশি দেখে থাকেন, ভিউ ততই বৃদ্ধি পায়, যা আমাকেও একটি কাজের ক্ষেত্রে আনন্দ দিয়ে থাকে।’ যদিও ডা. এজাজ মনে করেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও ভিউর জন্য আপনি আবার সবকিছুই নির্মাণ করতে পারেন না। অন্যায়-অশালীন কাজ করা যাবে না। ভালো ও শালীন কাজ করে দর্শকপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’
‘আমি চাই, ভালো কাজের মাধ্যমে দর্শক বিনোদন পাক। আমি যদি কোথাও ভালো অভিনয় করে থাকি, সেই ক্রেডিট এক শ ভাগ যিনি স্ক্রিপ্ট লিখেছেন তাঁর এবং যিনি নির্দেশনা দিয়েছেন তাঁর। আমার কোনো ক্রেডিট নেই। আমি তো নাচের পুতুল, যেভাবে নাচানো হয়, সেভাবে নাচি। হুমায়ূন স্যার আমাদের যত সুন্দর করে নাচাতে পেরেছেন, তত সুন্দরভাবে আর কেউ তো নাচাতে পারছেন না।’
মানবিক ডাক্তার হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে ডা. এজাজের। নাটকের পাশাপাশি সিনেমায়ও বাজিমাত করেছেন তিনি। হয়েছেন প্রশংসিত। ‘তারকাঁটা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব–অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘রাজকুমার’ চলচ্চিত্রেও একটি চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন ডা. এজাজ।