ডাবিং–শিল্পের ওপর আরোপিত ‘কালাকানুন’ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কলাকুশলীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান তাঁরা।
আলোচকেরা বলেন, দেশে এখন ডাবিং–শিল্পের সঙ্গে এক হাজারের বেশি শিল্পী ও কলাকুশলী যুক্ত রয়েছেন। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী যাঁরা কেবল মাতৃভাষাতেই যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁদের জন্য বিদেশি ভাষায় নির্মিত উঁচু মানের টিভি অনুষ্ঠান তাঁরা বাংলায় ডাবিং করে উপস্থাপন করেন। আগে বিদেশি ভাষার কনটেন্টগুলো ভারত থেকে ডাবিং করা হতো। দীর্ঘ চেষ্টার মধ্য দিয়ে তাঁরা দেশেই ডাবিং–শিল্পের বিকাশ করেছেন।
ডাবিং–শিল্পীরা বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী দল ২০১৬ সালে শহীদ মিনারে সমাবেশ করে ডাবিং–শিল্প বন্ধের দাবি করে। এমনকি তারা কর্মস্থলে ডাবিং–শিল্পীদের ঘেরাও করে। বিকাশমান ডাবিং–শিল্পের গতি রুদ্ধ করতে প্রিভিউ প্রথা প্রবর্তন করা হয়। এতে ডাবিং–শিল্পীদের জীবন–জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। স্বার্থান্বেষী দলটি এত দিন নানাভাবে সরকারের তোষণ করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তাদের প্রভাব জারি রেখেছে।
আলোচকেরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরের এই মুক্ত পরিবেশে সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করে বলেন, ডাবিং–শিল্পের ওপর থেকে প্রিভিউ প্রথা বাতিল করতে হবে। বর্তমানে একটি চ্যানেলে দৈনিক একটি ডাবিং করা অনুষ্ঠান প্রচারের যে নিয়ম রয়েছে, তা পরিবর্তন করে সম্প্রচারের ব্যবস্থা উন্মুক্ত করতে হবে। তাঁরা বলেন, বিশ্বের সব ভাষার উন্নত মানের কনটেন্ট বাংলায় ডাবিং করে সম্প্রচারের ব্যবস্থা সুগম করতে হবে। এতে জনসাধারণের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ও সচেতনতা সৃষ্টি হবে।
মতবিনিময়ে আলোচনা করেন সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, লেখক সারোয়ার তুষার, দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা নাহিদ আক্তার। সঞ্চালনা করেন অভিনেতা ও নির্দেশক দীপক সুমন।