‘সাকিন সারিসুরি’, ‘আলতা সুন্দরী’, ‘ঘরকুটুম’, ‘গরু চোর’, ‘ঢোলের বাদ্য’, ‘পত্র মিতালী’, ‘কবুলিয়তনামা’ এমন জনপ্রিয় নাটকের নাট্যকার বৃন্দাবন। অভিনয় করেও প্রশংসা পেয়েছেন এই গুণী চিত্রনাট্যকার। এবার তাঁর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন পরিচয়। নাট্যকার বা অভিনেতা নন, তিনি এবার শিক্ষকতা করবেন। এই তথ্য বৃন্দাবন দাস নিজেই প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
বৃন্দাবন দাস জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন তিনি। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে এক সেমিস্টারের জন্য তিনি আজ থেকেই পাঠদান শুরু করেছেন। টেলিভিশন নাটক, টেলিভিশন প্রোডাকশনের বেশ কিছু বিষয় পড়াবেন। তিনি বলেন, ‘আমার অনেক আগে শিক্ষকতা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পরে সেই সুযোগ হয়নি। নাটক লেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। পরে তো পাশাপাশি অভিনয় শুরু করলাম। দীর্ঘদিন পরে শিক্ষকতার সুযোগ পেলাম। এক সেমিস্টার পড়াতে হবে। পড়াব, এই অনুভূতিটা অন্য রকম।’
আজ সকালেই শ্রেণিকক্ষে বৃন্দাবন দাসকে পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বেশির ভাগ দল বেঁধে শিক্ষক বৃন্দাবনের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। এই চিত্রনাট্যকার বলেন, ‘এটা দারুণ এক অনুভূতি। আমি মোটেও ভাবিনি এত সুন্দরভাবে শিক্ষার্থীরা আমাকে গ্রহণ করবেন। তাঁদের নানা কৌতূহল আমার ভালো লেগেছে। কতটুকু তাঁদের শেখাতে পারব, সেটাই মাথায় ঘুরছে। তবে নিজেকে শিক্ষক বলব না মেন্টর হিসেবেই আমি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব।’
নাট্যকার হিসেবে শুধু পরীক্ষিতই নন, জনপ্রিয়ও বৃন্দাবন দাস। তাঁর লেখা অনেক নাটক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নাট্যকারও যে পরিচালকের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন, তার প্রমাণ রেখেছেন বৃন্দাবন দাস। নাট্যকার হিসেবে তাঁর স্বকীয়তা আছে। মূলত গ্রামকেন্দ্রিক নাটক লিখে জনপ্রিয় হয়েছেন এই নাট্যকার। তাঁর জন্ম পাবনায়, ঢাকায় আসেন ১৯৯৫ সালে। যুক্ত হন মঞ্চনাটকে। আরণ্যক নাট্যদলে অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক লিখতে শুরু করেন বৃন্দাবন। ১৯৯৭ সালে লেখেন প্রথম নাটক ‘বন্ধুবরেষু’। নির্মাতা ছিলেন সাইদুল আনাম টুটুল। নাটকটি দেখা গিয়েছিল একুশে টিভিতে। দুই যুগের বেশি সময় ধরে বৃন্দাবন দাস নাটক লিখে চলেছেন।