শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে অভিনেত্রী সীমানার। গত ৯ দিনেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। এর মধ্যেই গতকাল এই অভিনেত্রীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে এই অভিনেত্রীকে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানান সীমানার ভাই এজাজ বিন আলী।
৯ দিন আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর এই অভিনেত্রীর সার্জারি করা হয়। তার পর থেকেই তিনি আইসিইউতে। এর মধ্যে জটিল আকার ধারণ করেছে কিডনি সমস্যা। এখন সমস্যা আরও বাড়ছে বলে জানান এজাজ। তিনি বলেন, ‘গতকাল এখানে ভর্তি করিয়েছি। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এখন নিশ্বাসেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। অবস্থা ভালো নয়, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে বলেছেন।’ এ সময় সীমানার বাবা ছেলের কাছ থেকে ফোন নিয়ে বলেন, ‘আমরা ভালো নেই। আমার মেয়ে ভালো নেই। অর্থনৈতিকভাবেই প্রচুর টাকা আমাদের খরচ করতে হচ্ছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
আট দিন ধরে এই অভিনেত্রী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে গত মঙ্গলবার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সীমানার ছোট ভাই এজাজ বিন আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে শনিবার সার্জারি করা হয়। তার পর থেকেই আপু হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছে। কিন্তু এখনো জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁদের আর করার কিছু নেই।’
তখন তাঁরা চিন্তা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করার কথা। গতকাল থেকেই এখানে চিকিৎসা চলছে। প্রসঙ্গত, সীমানা ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি। পরে নাটকেও অভিনয় শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ ২০১৬ সাল থেকে অভিনয়ে বিরতি। পরে জানা যায়, মা হওয়ার জন্যই এই বিরতি। দুবার মা হওয়ার কারণে তাঁর এই দীর্ঘ বিরতি। বিরতি ভেঙে গত বছর আবার নাটকে অভিনয় শুরু করেন।