আজ শনিবার রাজধানীর নিকেতনে ‘সংস্কারকামী পেশাজীবী সাধারণ অভিনয়শিল্পী’র ব্যানারে এক হয়েছিলেন তাঁরা।
আজ শনিবার রাজধানীর নিকেতনে ‘সংস্কারকামী পেশাজীবী সাধারণ অভিনয়শিল্পী’র ব্যানারে এক হয়েছিলেন তাঁরা।

সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পীদের পাঁচ দাবি

অভিনয়শিল্পী সংঘের কাছে পাঁচটি দাবি জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কয়েকজন সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পী।

আজ শনিবার রাজধানীর নিকেতনে ‘সংস্কারকামী পেশাজীবী সাধারণ অভিনয়শিল্পী’র ব্যানারে এক হয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে টেলিভিশন অভিনয়শিল্পীদের সংগঠনটির কাছে এসব দাবি জানান তাঁরা।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা জানান, আলোচনায় বসার জন্য অভিনয়শিল্পী সংঘের কাছে বেশ কয়েকবার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন তাঁরা। চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিনয়শিল্পী সংঘ থেকে জানানো হয়, সংগঠনের সদস্য ছাড়া অন্য কোনো অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে তাঁরা বসবেন না। এরপর সংগঠনটিকে সংস্কারকামী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পক্ষ থেকে আজ নিকেতনের ‘গ্রাউন্ড জিরো’তে চায়ের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু এতেও সাড়া মেলেনি।

তাঁরা মনে করছেন, অভিনয়শিল্পী সংঘ ‘সদস্য’ কিংবা ‘অ-সদস্য’ এসব শব্দ ব্যবহার করে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। বাংলাদেশের সব অভিনয়শিল্পীকে ‘সদস্য’ ও ‘অ-সদস্য’ এই ধরনের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিতে না দেখে ‘অভিনয়শিল্পী’ হিসেবে দেখতে হবে।

অভিনয়শিল্পী সংঘের সঙ্গে কথা বলার অধিকার যেন সবাই পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে এবং ঘটনাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিতে হবে।

সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পীরা মনে করছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অনেক অভিনয়শিল্পী সরকারের পক্ষে অবস্থান নেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অভিনয়শিল্পী সংঘের যাঁরা একটি নির্দিষ্ট শাসনকাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়ে অশিল্পীসুলভ আচরণ করেছেন, তাঁদের সবাইকে পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে সংগঠনটির বসতে হবে।
তৃতীয় প্রস্তাবে সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পীরা জানিয়েছেন, ১ ও ২ নম্বর প্রস্তাবে সম্মত না হলে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অভিনয়শিল্পী সংঘের কমিটি বাতিল ও সব সদস্যকে পদত্যাগ করতে হবে।

চতুর্থ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পদত্যাগের পর রিফর্মেশন কমিটি গঠন করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সংগঠনটিকে কীভাবে আধুনিক, যুগোপযোগী এবং পেশাদার অভিনয়শিল্পীদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়, তার ব্যবস্থা নিতে হবে। পরবর্তী নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং পরিবেশ তৈরির ব্যবস্থা নিতে হবে।

সর্বশেষ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন দৃশ্যমাধ্যমের অভিনয়শিল্পীদের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘আসুন আমরা একযোগে আমাদের সকল অভিনয়শিল্পীর স্বার্থ, অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে, এমন একটি সংগঠনের রূপরেখা প্রণয়ন করি।’

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইন্তেখাব দিনার, আজমেরী হক বাঁধন, এফ এস নাঈম, নাদিয়া আহমেদ, কাজী নওশাবা, মনোজ প্রামাণিক, নাজিয়া হক অর্ষা, মুস্তাফিজ নূর ইমরান, শ্যামল মাওলা, খায়রুল বাশার, মৌসুমী হামিদ, সোহেল মন্ডল, হাসনাত রিপন, আবদুল্লাহ আল সেন্টু প্রমুখ।