চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজের মতো করে জীবনযাপন করছিলেন অভিনয়শিল্পী স্বাগতা। বছরখানেক একা থাকার পর ভাবছিলেন, আবার সংসারী হবেন। একদিন ঢাকার একটি ক্লাবে পরিচয় হয় লন্ডনপ্রবাসী হাসান আজাদের সঙ্গে। জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা যুক্তরাজ্যে করেছেন। গানও করেন। কিছুদিন পথচলার পর হাসানকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। নতুন বছরে স্বাগতা ও হাসানের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। প্রথম আলোকে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন স্বাগতা।
কবে, কখন ও কোথায় হাসান আজাদের সঙ্গে পরিচয়, জানতে চাইলে স্বাগতা বলেন, ‘গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরের কথা, আমার একটা বান্ধবী আমাকে ঢাকার একটি ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিল। ওখানে আমরা হ্যাংআউট করতে গিয়েছিলাম। বান্ধবীর একটা বন্ধু ছিল হাসানের কাজিন। ওখানে হাসান ছিল। এরপর অনেক দিন দেখা ছিল না আমাদের। নভেম্বরে আবার দেখা। দেখা হলে বুঝতে পারি, সে আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী। এরপর ভাবলাম, না ঠিক আছে। তবে বান্ধবীর কিন্তু মোটেও উদ্দেশ্য ছিল না হাসানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।’
কবে বুঝলেন আপনি হাসান আজাদকে পছন্দ করেছেন? এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আমি আসলে সেভাবে বুঝি নাই। ও-ই আমাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করল। এরপর আমি নিজেও যখন ভাবছিলাম, বিয়ে করব। পাত্রও খুঁজছিলাম। পরে জানতে পারি, হাসানও পাত্রী খুঁজছে। ইউকে থেকে বাংলাদেশে এসেছে অনেক বছর পর। কথা বলতে বলতে জীবনের অনেক কিছু জানতে পারলাম। বুঝলাম, হাসান সংসার করতে চায়।
আমিও সংসার করতে চাই। আমাদের দুজনের আর্টিস্টিক ভিউ অনেক মিলে যায়। হি ইজ অ্যান আর্টিস্ট, এটা যেমন ভালো লেগেছে, তেমনি হি ইজ অ্যান একাডেমিক, এটাও ভালো লেগেছে। আমি ছোটবেলা থেকে লেখক পরিবেশে বেড়ে উঠেছি। একটা সময় বুঝতে পারি, হাসান আমার কাজ অনেক বেশি অ্যাপ্রিশিয়েট করেছে। আমি কাজ করতে অনেক ভালোবাসি, এটাতে সমর্থন আছে জানতে পারাটা ছিল অনেক ভালো লাগার।’
স্বাগতা জানান, হাসান আজাদের মা মাস চারেক আগে মারা গেছেন। বাবা আরও আগে মারা যান। পরিবারের মধ্যে এখন শুধু একমাত্র বোন বেঁচে আছেন। স্বাগতা বলেন, ‘হাসান কিন্তু প্রথমে জানত না, আমি সেলিব্রিটি। ওর আমাকে এমনিতে পছন্দ হয়েছে।’
তারকা জানার পর কী বলেছেন এমন প্রশ্নে বলেন, ‘তখন তো সুপার এক্সাইটেড। (হাসি)’ নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে স্বাগতা বলেন, ‘খুব যে প্রেম, ভালোবাসা, ব্যাপারটা তা নয়। আমি মনে মনে ঠিকঠাক একটা জীবনসঙ্গী খুঁজছিলাম। এমন কেউ, যাঁর সঙ্গে বাকি জীবনটা পার করে ফেলা যায়। এমন সময় ওর সঙ্গে পরিচয়। ভাবলাম, দেখি যদি মনের মিল হয়। ও গান লেখে, সুর করে, মিউজিক কম্পোজ করে, আমি গাই। মিউজিক আমাদের বেঁধে ফেলল।’