নাট্যনির্মাতা মোহন খানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মোহন খানকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাঁর ছেলে ইউশা মোহন প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
ইউশা মোহন আজ বেলা দুইটায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত মাসে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা। প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর আমরা জানতে পারি, তাঁর ব্রেনে টিউমার হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেই টিউমারের সার্জারি করতে হয়। তারপর বাবার শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকেই যাচ্ছিল। এর মধ্যে গত শুক্রবারে বাবার ঘাড়ে স্পাইনাল কর্ডের ওপরের প্রেশার পয়েন্টে একটি অপারেশন করতে হয়। গত শুক্রবার দ্বিতীয় সার্জারির পর থেকেই বাবা লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।’
এ সময় ইউশা মোহন আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়বার সার্জারির পর বাবার অবস্থা ছিল—এই ভালো, এই খারাপ। আজ সকাল থেকে আরও বেশি খারাপ হতে থাকে। বাবার নিশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে। ফুসফুসে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফুসফুসে যে কফ জমা হয়েছে, সেটার চিকিৎসা চলছে। শুরুতে ডাক্তারেরা জানিয়েছিলেন, এটা রিকভারি হতে সময় লাগে। সকাল থেকে অবস্থা ভালো নয়। বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
দেশের নাট্য অঙ্গনে মোহন খানের বিচরণ তিন দশকের বেশি সময়। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নাটক নির্মাণ করে আসছেন। পাশাপাশি নাটক রচনাও করেন। তাঁর পরিচালিত প্রথম নাটক ‘আমার দুধমা’ বিটিভিতে প্রচার হয়। তাঁর লেখা ও পরিচালনায় নাটক ‘সমুদ্রে গাঙচিল’, ‘সেই আমরা’, ‘নীড়ের খোঁজে গাঙচিল’, ‘জেগে উঠো সমুদ্র’, ‘মেঘবালিকা’, ‘দূরের মানুষ’, ‘আঙ্গুর লতা’, ‘হৃদয়পুরের গল্প’ ইত্যাদি নাটক বানিয়ে তিনি প্রশংসিত হন। বর্তমানে তিনি নাটক বানানোর পাশাপাশি এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন।