নাট্যজন মামুনুর রশীদের লেখা ও পরিচালনায় নির্মিত শেষ প্রচারিত নাটকের নাম কী, তা তিনি নিজেও মনে করতে পারেন না। আজ সোমবার দুপুরে শুধু এটুকুই বললেন, ২৫ বছরের কম হবে না। তিনি জানান, এটিএন বাংলায় সেই নাটক প্রচারিত হয়েছিল। লেখা ও পরিচালনার এই দীর্ঘ বিরতি ভাঙছেন দেশের গুণী এই অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার ও পরিচালক। খুব শিগগির তিনি বানাতে চলেছেন ‘চরণ ছুঁয়ে যায়’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিক নাটক। এর মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী মাস থেকে এই নাটকের শুটিং শুরু হবে। নাটকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি অভিনয়ও করবেন, এমনটাই জানান।
মামুনুর রশীদ জানান, ‘চরণ ছুঁয়ে যায়’ নাটকটি ২৬ পর্বে তৈরি হবে। নাটকের মূল গল্প আবর্তিত হবে গ্রামের একটি স্কুল ও তার শিক্ষাব্যবস্থাকে ঘিরে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে সমাজের দুর্বৃত্তায়নও।
এই সময়ে এমন ভাবনা নিয়ে নাটক বানানোর ইচ্ছা প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমি খুব চিন্তিত। কয়েক বছর ধরে এই চিন্তা আমার মধ্যে ভর করেছে। শিক্ষাব্যবস্থা কী দাঁড়াচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, তৃণমূল থেকে শুরু করে একদম উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষার মধ্যে যে নানা সংকটের কথা প্রতিদিন জানছি, শুনছি, সেসব প্রতিনিয়ত ভাবায়। সেই দেখা, শোনা ও জানার মধ্য থেকে আমি এই নাটক নির্মাণের কথা ভেবেছি।’
আগামী জুন মাসে ‘চরণ ছুঁয়ে যায়’ নাটকের শুটিং শুরু হবে। শুটিংয়ের স্থান হিসেবে পুবাইল, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘরে দেখা হচ্ছে। মামুনুর রশীদ জানান, ‘যেখানে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে, সেখানেই শুটিং করব। এদিকে শিল্পী বাছাইয়ের কাজও চলছে।’
লেখা ও পরিচালনার কাজটি এত দিন করা হয়নি কেন, জানতে চাইলে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘অনেক ধরনের খারাপ অভিজ্ঞতা আছে। চ্যানেলে অনেক টাকাও আটকে ছিল। সবকিছু মিলে নানা সমস্যার কারণে নিজে থেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। তবে এবার চ্যানেল আই যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে, তাতে আমি ভীষণ আশাবাদী। আমি এ কারণে আশাবাদী যে কেউ যদি তাঁর চলমান সমস্যা ও সংকট দেখতে পায়, সেটা অনেক বড় একটা বিষয়। চ্যানেল আইয়ের ইবনে হাসান খান (বিপণন বিভাগের প্রধান) গল্পটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে কাজটি করতে রাজি হয়ে যায়। আমিও সব সময় আমার ধারাবাহিক নাটকে চেষ্টা করি, সমাজটা কোন অবস্থায় আছে, সেটা দেখানোর।’
কথায় কথায় মামুনুর রশীদ বলেন, ‘এমন সময়ে এমন একটা বিষয় নিয়ে কাজ করার ব্যাপারটা সমাজ ও দেশের প্রতি একরকম দায়বদ্ধতা দেখানোও। এখন তো আমরা প্রায়ই দেখি, যা কিছু হচ্ছে, তার বেশির ভাগ নৃশংসতা, যৌনতা। এর বাইরে আমরা একটা সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছি। এটা একটা নিরীক্ষাও হবে।’